লখনউ শহরকে বলা হয় নবাবদের শহর। কিন্তু ইসলামি স্থাপত্য ভাস্কর্য সংস্কৃতি দিয়ে মোড়া এই শহরের সঙ্গে নাকি যোগ রয়েছে রামায়ণের। আরও স্পষ্ট করে বললে লক্ষ্মণের। শুনে নিন সেই গল্প প্লে-বাটন ক্লিক করে।
লখনউ শহরের নাম শুনলেই নাকে ভেসে আসে কবেকার সেই নবাবি দিনের গন্ধ। গলৌটি কাবাব, চিকনের কুর্তা, গজল, বাইজি নাচের ঘুঙুর — একের পর এক ছবির কোলাজ। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউ। সংগীতপ্রেমী বাঙালির মনে পড়ে যায় এখানেই এককালে থাকতেন অতুলপ্রসাদ। আর যাঁরা গোয়েন্দা গল্পের পোকা, তাঁদের মনে পড়ে ‘বাদশাহী আংটি’-র অভিযানে, কিংবা ‘শকুন্তলার কণ্ঠহার’-এর খোঁজে কীভাবে এই শহরটাকে চষে ফেলেছিল ফেলুদা।
আরও শুনুন: Ramayana: রামায়ণের আদিতে ছিলই না লক্ষ্মণরেখা! কোথা থেকে এল এই গল্প?
আচ্ছা, এত মনে হওয়ার মাঝে কারও কি একবারও মনে হল, এই শহরের নামকরণ হল কীভাবে? লখনউ শব্দটার উৎপত্তি হল কোথা থেকে?
আরও শুনুন: Wazir Ali Shah: নবাবের কবরের জন্য খরচ মাত্র ১০ টাকা! কেন করা হয়েছিল অবহেলা?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে চমকে যেতে হয়। যে শহরটার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে নবাবিয়ানা, যে শহর আজও শোনায় মুসলমান বাইজিদের নৃত্য-গীত-লাস্যের কিসসা, যে শহরের প্রিয় খাবার বিরিয়ানি আর কাবাব, ইসলামি সংস্কৃতির পীঠস্থান সেই শহরের নামকরণের পিছনে নাকি রয়েছে এক হিন্দু রাজপুত্রের নাম! এমন অভিনব যুগলবন্দি সম্ভব! আজ্ঞে হ্যাঁ। সেই কথাই তো বলছি! তাও যে সে রাজপুত্র নন, অযোধ্যার রাজপুত্র তিনি। লক্ষ্মণের নামেই নাকি নাম দেওয়া হয়েছিল এই শহরের, প্রচলিত আছে এমনই একটি মত। লখনউ নামটি লক্ষ্মণ থেকে এসেছে বলেই মনে করেন অনেকে। কেউ কেউ বলেন, এর আদি নাম ছিল লক্ষ্মণাবতী, কেউ বলেন লক্ষ্মণপুর। লঙ্কা জয় করে, চোদ্দ বছরের বনবাস শেষে অযোধ্যায় ফেরার পথে ছোট ভাই লক্ষ্মণকে নাকি এই অঞ্চল উপহার দিয়েছিলেন স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র। গোমতী নদীর তীরে লক্ষ্মণ গড়ে তোলেন এই নগরী। এ শহরের পুরোনো এলাকায় একটি উঁচুমতো জায়গা রয়েছে, যার নাম লক্ষ্মণ টিলা। বিশ্বাসীরা মনে করেন, সেখানেই ছিল লক্ষ্মণের সুদৃশ্য প্রাসাদ।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।