বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের কোনও মহার্ঘ্য ভাতা, হাইকোর্টে হলফনামা রাজ্যের। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক নরেন্দ্র মোদির। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় হলফনামা তলব হাই কোর্টের। টেটউর্ত্তীর্ণ আরও ৫৪ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় পরেশ পালকে সিবিআই-তলব। ঋষি সুনককে পিছনে ফেলে ব্রিটেনের মসনদে লিজ ট্রাস।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. পুজোর অনুদান সংক্রান্ত মামলায় আদালতে হলফনামা জমা দিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই কর্মচারীদের। এমনকী অনুদান সংক্রান্ত মামলাটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেও হলফনামায় দাবি করেছে রাজ্য সরকার। চলতি বছর দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়। এদিন সেই মামলায় হলফনামা জমা করল রাজ্য। হলফনামায় রাজ্য আরও জানায়, পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই ‘পুলিশ’ অনুশীর্ষে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পুজোর অনুদান দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দু’টিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। তাছাড়া সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই। এই মর্মে ওই মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছে রাজ্য। একইসঙ্গে মামলাকারীর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করার আরজিও জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
2. আপাতত অধরাই তিস্তার জল। মঙ্গলবার দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে কোনও আশ্বাস মেলেনি। পরিবর্তে অসমের কুশিয়ারা নদীর জল নিয়ে পাকাপাকি চুক্তি হয়েছে। ১৫৩ কিউসেক জল নেবে বাংলাদেশ। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অপরের হাত ধরে চলবে। এদিন হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর মোট ৭ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রয়েছে রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ-সহ আরও বেশ কয়েকটি চুক্তিও। বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে দু’জনের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন মোদি-হাসিনা। তিস্তা এবারের মতো অধরা থাকলেও হাসিনা আশাপ্রকাশ করে বলেন, ”আগেও দু’দেশ পরস্পরের পাশে থেকে একাধিক সমস্যার সমাধান করেছে। আশা করছি, এবার তিস্তার মতো সমস্যা-সহ একাধিক বিষয় জট কাটবে বন্ধুত্বের জোরেই।” ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্যান্য় দেশের কাছে রোল মডেল বলেই জানান হাসিনা। তাঁর এই সফরের পর সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশের প্রতি এতটা বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে জানান শুভেচ্ছাবার্তাও। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উপর একটি বইও তিনি এদিন তুলে দেন মোদির হাতে। দু’দেশের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, বন্যার সময়ে জলস্তর নিয়ন্ত্রণের জন্য তথ্য আদানপ্রদানে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা, নিউক্লিয়ার শক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দু’ জনের মধ্যে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।