সঙ্গমে চূড়ান্ত সুখে পৌঁছনো এমনিতেই একটি জটিল বিষয়। নারীদের ক্ষেত্রে সে জটিলতা বাড়ে বই কমে না। কেননা সঙ্গমকালে বহু নারীই কাঙ্ক্ষিত সুখ পান না। অথচ ভারতীয় কামসূত্র কিন্তু বলছে অন্য কথাই। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
‘ফেক অর্গ্যাজম’ কথাটির সঙ্গে এখন আমরা বেশ পরিচিত। অর্থাৎ যৌনতায় চূড়ান্ত সুখ আসলে মিলছে না, অথচ হাবেভাবে সঙ্গী কিংবা সঙ্গীনি এমন ব্যবহারই করছেন, যাতে মনে হয় বিশেষ মুহূর্তটি এসে গিয়েছে। বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে এরকম ব্যবহারের কথা শোনা যায়। মনে করা হয়, সঙ্গমকালে তাঁরা পর্যাপ্ত সুখ পান না। অথচ সঙ্গীর মন রাখতে গিয়ে ফেক অর্গ্যাজমের দ্বারস্থ হন।
আরও শুনুন: যৌনতায় কাঁচা! রাখতে পারেন প্রশিক্ষক, তাঁরা কী শেখান, কীভাবে শেখান?
অথচ ভারতীয় কামসূত্র কিন্তু বলছে, একবার কেন! নারীরা একবার সঙ্গমেই একাধিকবার চূড়ান্ত সুখ পেতে পারেন। আসলে, যৌনতা বিষয়টি নিয়ে নানারকমের ছুঁতমার্গ বাসা বেঁধে থাকে মনে। তা ছাড়া বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে না দেখে লুকোছাপা বা গোপনীয়তার আড়ালেও রাখা হয়। ফলে, যৌনতার কলাকৌশল যে আদতে শেখার জিনিস তা বেখেয়াল হয়ে যান অনেকেই। ভুল শিক্ষার দৌলতেই যৌন সম্পর্কে চলে নানা টানাপড়েন। আর সেখান থেকেই এই ফেক অর্গ্যাজমের মতো ঘটনার সূত্রপাত। অথচ ভারতীয় কামসূত্র কিন্তু বরাবরই যৌনতা বিষয়টিকে যথাযথ মর্যাদাই দিয়েছে। শারীরিক মিলনে আনন্দ পাওয়ার আগে শরীর সংক্রান্ত জ্ঞান যদি না থাকে, তবে আনন্দের ষোলআনাই মাটি। সেই শিক্ষা বা অভিজ্ঞতার সূত্রই যুগ যুগ ধরে শিখিয়ে এসেছে এই শাস্ত্র। যেমন, শুধু চুম্বনের কথাই ধরা যাক। সাধারণ ভাবে পরিণত বয়স্ক যুবক-যুবতীরা পরস্পরের ঠোঁটে চুম্বনের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন। কামসূত্র কিন্তু বলে, শরীরের আরও বিভিন্ন অংশ আছে, যেখানে ঠোঁট ছোঁয়ালে বরং যৌন উদ্দীপনা বাড়ে। এবং যৌনতা কেবলমাত্র পরিচিত যৌন অঙ্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। কৌশল জানলে সারা শরীরই যৌন স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। আর তাই সঙ্গমের আগের শৃঙ্গার পর্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয় কামসূত্রে। তবে, সঙ্গম যেমনই হোক না কেন, সঙ্গী বা সঙ্গীনির অনুমতি নেওয়া একান্ত আবশ্যক। যৌনতা বিষয়ক এই কলাকৌশল রপ্ত হলেই বোঝা যায় যে, নারীর চূড়ান্ত যৌনসুখ কোনও অলীক বস্তু নয়। বরং একবার সঙ্গমের ক্ষেত্রেই নারীরা একাধিক বার চূড়ান্ত সুখ অনুভব করতে পারেন। যদি সঙ্গী সঙ্গমের বিদ্যা ঠিকঠাক আয়ত্ত করতে পারেন। কামসূত্র তাই বলে, সঙ্গীর তাই উচিত নারীর তৃপ্তির দিকে খেয়াল রাখা। সঙ্গীনি যাতে আগে যৌনসুখে পৌঁছতে পারেন তা নিশ্চিত করা জরুরি। আর তাহলেই নিজের সুখ আর অধরা থাকে না।