উপার্জনের কি কোনও বয়স হয়? সাধারণ ভাবে ধরে নেওয়া হয় যে, পড়াশোনা করে তারপর কেউ উপার্জন করা শুরু করবে। তবে সে ধারণা যে একেবারে নিত্যসত্য কোনও ব্যাপার নয়, তাই-ই প্রমাণ করে দিয়েছে ১১ বছরের খুদে। খেলনা বিক্রি করে খুদের আয় মাসে কোটি টাকার উপরে। আসুন শুনে নিই এই খুদে ব্যবসায়ীর কথা।
১১ বছরের বাচ্চা মেয়ের উপার্জনের অঙ্ক শুনে সকলেরই চোখ কপালে উঠেছিল। শুধুমাত্র খেলনা বিক্রি করে মাসে নাকি ১ কোটির বেশি রোজগার তার। শুনতে অবাক লাগলেও অস্ট্রেলিয়ার খুদের এই রোজগার নজর কেড়ে নিয়েছিল সকলেরই।
আরও শুনুন: সন্তান জন্মের সময় যেন কুৎসিত না দেখায়, প্রসবের আগে মেক আপে ব্যস্ত মহিলা
খুদে এই কন্যার নাম পিক্সি কুর্টিস। শোনা যায়, লকডাউনের সময় মাকে সাহায্য করার জন্যই সে একটা খেলনার দোকান দেওয়ার ভাবনা ভাবে। অবশ্যই পাশে ছিলেন বড়রা। তাঁদের সহায়তাতেই পিক্সি একটা অনলাইন স্টোর চালু করে। দোকান শুরু সঙ্গে সঙ্গেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার খেলনা সব বিক্রি হয়ে যায়। সেই শুরু। দেখতে দেখতে ব্যবসা বেশ ভালোই জমে ওঠে পিক্সির। একসময় মাসে কোটি টাকারও বেশি রোজগার করতে শুরু করে সে। এই খবরই ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। উপার্জনের যে কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না, খুদে পিক্সির সাফল্য যেন সকলকে সে কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল। পিক্সির মা মজা করে বলতেন, উপার্জনের জন্য তাঁদের একশো বছর কাজ করতে হবে। আর পিক্সি যে হারে রোজগার করছে তাতে ১৫ বছরেই সে অবসর নিতে পারবে। বাস্তবিকই ব্যবসাপাতি ছেড়ে এবার অবসর নিতে চলেছে এই খুদে ব্যবসায়ী। বয়স বেড়েছে পিক্সির, পড়াশোনার চাপও বেড়েছে। ব্যবসায়ী এবার তাই নিজের সিলেবাসেই মন দিতে চায় বেশি। অতএব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। মেয়ের এই সিদ্ধান্তে পূর্ণ সহমত পিক্সির মা। তিনি বলেছেন, তাঁরা কখনোই চান না যে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করুক পিক্সি। জোর করে ব্যবসা করা তো মোটেও নয়। যা করতে তার ভালো লাগে, সে শুধু সেটাই করুক। তবে পিক্সির এই সাফল্য অনেককেই প্রেরণা দিয়েছে। উপার্জন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, আর তা যে যে কোনও বয়স থেকে শুরু করা যায়, সে কথাই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট পিক্সির এই খুদে জীবনের গল্পে।