মোট ১২২৯ জনের উপর সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্ট অবশ্য জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
হাত না ধুয়ে খাবার খেতে নেই। বাথরুম থেকে বেরিয়ে অবশ্যই হাতে জল দিতে হয়। এ তো সেই ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়। কিন্তু পন্টিং-এর দেশ অস্ট্রেলিয়ায় অবাক কাণ্ড। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানান দিচ্ছে, সে-দেশে প্রতি পাঁচ জনের এক জন নাকি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে হাতে জলই দেন না।
শুনে তো অনেকেই অবাক। এরকম আবার হয় নাকি? খবর একেবারে ফুড সেফটি ইনফর্মেশন কাউন্সিলের। মানুষের স্বাস্থ্যবিধি অর্থাৎ হাত ধোয়ার অভ্যাস নিয়েই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। দেখা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দাদের ১৯ শতাংশ প্রতিবার বাথরুম ব্যবহার করে হাতে জল দেন না। ৪২ শতাংশ আবার স্বীকার করেছেন যে, এই কাজ তাঁরা মাঝেমধ্যে করেন, তবে প্রতিবার করেন না। মোট ১২২৯ জনের উপর সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্ট অবশ্য জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এবং তাঁরা এ বিষয়ে সচেতন। হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলেন এমন পুরুষ যদি হয় ৮০ শতাংশ, মহিলার সংখ্যা ৮৩ শতাংশ। খাবার খাওয়ার আগে যেখানে ৫৫ শতাংশ পুরুষ হাত ধোন, মহিলাদের হার সেখানে ৬২ শতাংশ। অবশ্য এই পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানেন না, এমন নারী-পুরুষের সংখ্যাও কিছু কম নয়।
অবশ্য এখানে বয়স একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। অল্পবয়সিদের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন বালাই নেই। ৩৪ বছরে নিচে ৬৯ শতাংশ মানুষ যদি হাত ধোয়ার বেশি সচেতন হয়, তবে, ৬৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স তাঁদের ক্ষেত্রে সচেতনতার হার ৮৬ শতাংশ।
তবে, অস্ট্রেলিয়ার এই পরিসংখ্যান আসলে একটি মূল কথাই জানান দিচ্ছে। যদিও এটি একটি বিশেষ দেশের উপর করা সমীক্ষা, অন্যান্য দেশেও এই সমীক্ষা করলে হয়তো এরকমই চমকপ্রদ ফলাফল বেরোবে। যাঁরা টয়লেট থেকে বেরিয়ে হাতে জল দেন না, তাঁরা হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েন না। কিন্তু তাঁরা জীবাণু বহন করেন সঙ্গে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা এই ধরনের মানুষের সংস্পর্শে এলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বাড়ির বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রিস্ক বেশি। আর তাই স্বাস্থ্যবিধি যে মেনে চলা উচিত। সমীক্ষা অস্ট্রেলিয়ার হলেও, তা আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। নিজেদের জন্য তো বটেই, অন্যদের জন্যেও যে তা মেনে চলা উচিত, সেই কথাটাই নতুন করে জানান দিচ্ছে এই সমীক্ষা।