ঘুম কার না প্রিয়! সে শীতের ভোরে লেপমুড়ি ঘুম হোক বা দুপুরের ভাতঘুম। যতই ঘুমকাতুরে বদনাম থাকুক বাঙালির, ঘুম কিন্তু ভাল। হ্যাঁ, গবেষকেরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। তবে কতক্ষণ ঘুম ভালো, আর কখনই বা ভালো? আজ্ঞে হ্যাঁ। তারও আছে সঠিক সময় মশাই। আসুন শুনে নিই, কী বলছেন গবেষকেরা?
‘নিদ্রারসে ভরা’ বলে বাঙালির যতই অপবাদ থাক না কেন, ঘুম না-হওয়ার কষ্ট কিন্তু ইনসমনিয়াক মাত্রই জানে। ইদানীং আমাদের জীবনে যে পরিমাণে চাপ, অনবরত ছুটে চলার ভিড়ে কমবেশি ঘুমের সমস্যায় ভোগেন বেশিরভাগ মানুষই। আর যার জেরে বাড়ছে হৃদরোগের প্রভাব, বাড়ছে অবসাদ-সহ নানা সমস্যা।
আরও শুনুন: নাসিকাগর্জনে অন্যেরা তিতিবিরক্ত, অথচ শব্দ যায় না ঘুমন্তের কানে… কেন জানেন?
একের পর এক নেতা, অভিনেতার অবসাদ, আত্মহত্যা কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আমাদের ভাবায় বৈকি। বয়স চল্লিশও পেরোয়নি, অথচ মানসিক অবসাদে ভুগছেন কিংবা হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা, হৃদযন্ত্রে গণ্ডগোল- কখনও ভেবে দেখেছেন, এর পিছনে থাকতে পারে মানসিক চাপ এবং লাগাতার ঘুম না-হওয়া।
গবেষকরা কিন্তু এমনটাই মনে করছেন। তাঁদের মতে, মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকে রেহাই দিয়ে শরীর ও মনকে পুনরুজ্জিবীত করতে পারে ঘুমই। এ অনেকটা ধরুন, মোবাইল ফোনে করা ফ্যাকট্রি রিসেটের মতো। শরীরে জমা সমস্ত ভাইরাস, দুশ্চিন্তা সমস্ত কিছুকে ছুঁড়ে ফেলে নতুন একটা দিনের শুরু এনে দিতে পারে একমাত্র ঘুম। ফলে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ের ঘুম কিন্তু প্রত্যেক মানুষের প্রয়োজন।
আরও শুনুন: Insomnia: অনিদ্রা দূরে সরিয়ে কীভাবে আসবে গভীর ঘুম?
সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি গবেষণা-রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হৃদয়কে সুস্থ রাখতে রাত দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া কিন্তু আবশ্যক। একটি ইওরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ওই রিপোর্ট। যেখানে ৪৩ থেকে ৭৯ বছর বয়সি অন্তত ৮৮ হাজার মানুষের দৈনন্দিন যাপনের তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষণাকারীরা। টানা এক সপ্তাহের ঘুমের সাইকেলও পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। এরই মধ্যে ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের নানাবিধ শারীরিক, মানসিক, ডেমোগ্রাফিক হেলথ অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নিতেও বলা হয়। সেই গবেষণাতেই ধরা পড়েছে, যাঁরা রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন, তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমেছে অনেকটাই।
শুনে নিন বাকি অংশ।