বুধবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দ্বিতীয় সন্তানের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। সঙ্গে লিখলেন, ‘ফ্রিডম টু ফিড’। এ কথার মধ্যে দিয়ে কী বার্তা দিতে চাইলেন অভিনেত্রী?
মা ও সন্তানের সম্পর্ক নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ শব্দ খরচ হয় প্রতিদিন। বলা হয়, মা ও সন্তানের সম্পর্ক নাকি পৃথিবীর পবিত্রতম সম্পর্ক। অথচ মায়ের সন্তানকে স্তন্যদান করার মতো সহজ বিষয়টিকে অনেকেই খুব একটা সহজে নিতে পারেন না। শিশুকে প্রকাশ্যে স্তন্যদান করাতে গিয়ে নিন্দা বা কটূক্তির সম্মুখীন হয়েছেন অনেক মা। এই পরিস্থিতিতে স্তন্যদানকে অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ‘ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং উইক’-এর সূত্রপাত। আর বরাবরই এই ক্যাম্পেনের উৎসাহী সদস্য নেহা ধুপিয়া। ২০১৯ সালে ‘ব্রেস্টফিডিং উইক’-এর সময়েই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এর প্রচার শুরু করেন তিনি। শিরোনাম দেন, ‘ফ্রিডম টু ফিড’। অর্থাৎ, স্তন্যপান করানোর অধিকার। যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন, এই ক্যাম্পেনের মধ্যে দিয়ে তাঁদের জন্য অধিকার আদায় করতে চেয়েছিলেন নেহা। চেয়েছিলেন, তাঁরা যেন যে কোনও সময়, যে কোনও স্থানে শিশুকে স্তন্যপান করাতে পারেন। আর তার জন্য যেন তাঁদের কোনোরকম অস্বস্তি বা অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে না হয়। সাম্প্রতিক পোস্টে নিজের সদ্যোজাত শিশুকে স্তন্যপান করানোর ছবি দিয়ে ফের সেই বার্তাই প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী।
আরও শুনুন: বটতলার বই থেকে আধুনিক পত্রিকার বিজ্ঞাপন… নারীশরীর কি বরাবরই ‘জনপ্রিয় পণ্য’!
চলতি বছরের তেসরা অক্টোবর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নেহা ধুপিয়া ও অঙ্গদ বেদি। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় অনুরাগীদের সঙ্গে সেই খবর ভাগ করে নিয়েছিলেন তাঁরা। অনুরাগীরাও উৎসুক ছিলেন শিশুর মুখ দেখার জন্য। এই ছবিতে ছেলের সঙ্গে ধূসর রঙের মাতৃত্বকালীন পোশাকে দেখা দিয়েছেন অভিনেত্রী। শিশুর মুখটি অবশ্য হাত দিয়ে আড়াল করে রেখেছেন তিনি। কিন্তু প্রকাশ্যে স্তন্যদানের ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আড়ালের প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। ২০১৮ সালে প্রথম সন্তান মেহের-এর জন্মের পরেও একইভাবে স্তন্যদান প্রসঙ্গে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, একবার বিমানযাত্রার সময় মেয়েকে স্তন্যপান করানোর জন্য বাথরুমে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যা একইসঙ্গে অস্বাস্থ্যকর এবং ভয়ের কথাও বটে। এই পোস্টে সে কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, যা সত্যি এবং সুন্দর, তা নিয়ে এত ঢাক ঢাক গুড় গুড় করার কী আছে! এই বিষয়ে যে সমাজের মানসিকতা বদলানোর প্রয়োজন রয়েছে, দ্ব্যর্থহীনভাবেই সে কথা জানিয়েছেন নেহা। পাশাপাশি অন্যান্য মায়েদেরও নিজেদের গল্প ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এইভাবেই নিজের ‘ফ্রিডম টু ফিড’ ক্যাম্পেনটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান নেহা ধুপিয়া।