সাম্প্রতিক কালে মাঝে মাঝেই মসজিদ ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে যোগীরাজ্যে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়াও হয়েছে মসজিদ বা মাদ্রাসা। সেই যোগীরাজ্যেই এবার অভিনব উপায়ে মসজিদ বানালেন এক ব্যক্তি। তবে মাটির উপরে নয়, মাটির তলায় মসজিদ বানিয়েছেন তিনি। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বরাবরই সরব হয় যোগীরাজ্যের প্রশাসন। মন্দির হোক বা মসজিদ, বুলডোজার নীতি যে কোনও বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর সেই উত্তরপ্রদেশেই সম্প্রতি নতুন একটি মসজিদ বানিয়েছেন এক ব্যক্তি। তবে মাটির উপরে নয়। তিনি মসজিদ বানিয়েছেন মাটির তলায়।
আরও শুনুন: এই নিয়ে চারবার! ৭০ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের আসরে ১১০ বছরের পাত্র
কথা বলছি, যোগীরাজ্যের হারদই প্রদেশের বাসিন্দা ইরফান সম্পর্কে। ছোট থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল নিজের বাড়ি বানাবেন। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেই তো হল না। একের পর এক সমস্যার জেরে বাড়ি বানানোর স্বপ্ন দীর্ঘদিন অধরাই ছিল ইরিফানের। কিন্তু ২০১১ সালে তাঁর জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন। প্রথমে বাবার মৃত্যু, তারপর রাজনীতির জগতে পা রেখেও বিরাট ব্যর্থতা। সব মিলিয়ে তাঁর জীবনের অন্ধকার অধ্যায় শুরু হয় সেই সময়। কিন্তু এর মাঝেও তিনি নিজের উপর বিশ্বাস হারাননি। দীর্ঘদিনের সেই বাড়ি বানানোর স্বপ্নকে এবার বাস্তবেও সত্যি করবেন বলে ঠিক করেন তিনি। কিন্তু সেখানেও অদ্ভুত এক উপায়ের কথা ভাবেন ইরিফান। সাধারণত কেউ বাড়ি বানালে তা মাটির উপরেই বানান। কিন্তু ইরফান ঠিক করেন বাড়ি বানাবেন মাটির নিচে। সেইমতো শুরুও করেন কাজ। বাড়ির কাছেই এক জমিতে খনন শুরু করেন ইরফান। লোকবল ছিল না বললেই চলে। একাই সাধারণ কিছু যন্ত্র নিয়ে শুরু করে খোঁড়াখুঁড়ি। স্রেফ খাওয়ার সময় বাড়ি যেতেন। দিনের বাকি সময় কাটাতেন ওই নির্দিষ্ট জমিতেই। কিছুদিনের মধ্যেই বিরাট গর্ত খুঁড়ে ফেলেন তিনি। তারপর শুরু করেন বাড়ি বানানোর কাজ।
আরও শুনুন: শয্যাসঙ্গী হতে পারেন যে কেউ, অর্ধেক বিছানা ভাড়া দিয়েই লক্ষ টাকা আয় তরুণীর
প্রথমে ঠিক করেছিলেন স্রেফ বাড়িই বানাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্রেফ বাড়ি বানিয়েই থেমে থাকেননি। বানিয়ে ফেলেন একটা আস্ত মসজিদ। বাড়িটাও সাধারণ কোনও বাড়ি নয়। প্রাসাদোপম সেই বাড়ি দেখে অবাক হবেন যে কেউ। বাড়িটির মধ্যে রয়েছে ১১টি ঘর, সিঁড়ি, বসার জায়গা সবকিছুই। এছাড়াও রয়েছে আধুনিকতার নানারকম সরঞ্জাম। মসজিদটিও নেহাতই ছোট নয়। সেখানে প্রার্থনা করতে পারবেন অনেকেই। তবে এই কাজের জন্য তাঁর সময় লেগেছে ১২ বছর। শুনতে অবাক লাগলেও, সত্যি। নিজের স্বপ্ন সত্যি করার জন্য এই দীর্ঘ সময়ই ব্যয় করেছেন ওই ব্যক্তি, যা রীতিমতো অবাক করেছে নেটিজেনদের।