প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে আলাদা আলাদা আদর্শ থাকে। প্রত্যেকের আইডল তাই আলাদা ব্যক্তি হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তা বলে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী ওসামা বিন লাদেন কারও আইডল হতে পারে! তা-ও আবার ভারতবর্ষে! যোগীরাজ্যে ঘটল সেই ব্যতিক্রমী ঘটনাই। জনৈক সরকারি কর্মীর আদর্শ নাকি এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী! এ-কথা জানার পর কী পদক্ষেপ প্রশাসনের? আসুন শুনে নিই।
সরকারি অফিসে টাঙানো ওসামা বিন লাদেনের ছবি। না, অন্য কোনও দেশের ঘটনা নয়। এ ছবি খোদ যোগীরাজ্যের। সে রাজ্যের বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম অফিসের এই ছবি রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে গোটা দেশে।
আরও শুনুন: ‘বাবরিই রামের জন্মভূমি আসলে মিথ্যে দাবি’! হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে গ্রেপ্তার অভিনেতা
জানা গিয়েছে, ঘটনার নেপথ্যে আছেন ওই অফিসেরই কর্মী রবীন্দ্র প্রকাশ গৌতম। তাঁর কাছে ওসামা বিন লাদেনই আদর্শ। আর তাই নিজের আইডলের ছবি তিনি টাঙিয়ে রেখেছিলেন অফিসের দেওয়ালে। তা-ও সদ্য সদ্য নয়, বেশ কয়েক বছর আগেই এই কীর্তি করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর অফিসের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ কর্তৃপক্ষের। ভারতের একটি রাজ্যের সরকারি অফিসে ঝুলছে লাদেনের ছবি! দেশের জন্য এ যে মোটেও ভাল বিজ্ঞাপন নয়, তা বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি কর্তৃপক্ষের। সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তদন্তেই জানা যায় ওই সরকারি অফিসারের লাদেনপ্রীতির কথা। এরপরই ওই কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
আরও শুনুন: অবাক কাণ্ড গুজরাটে! শ্মশানেই চলছে দেদার প্রি-ওয়েডিং শ্যুট, হচ্ছে জমিয়ে পিকনিকও
কিন্তু প্রশ্ন হল, এরকম কুখ্যাত একজন সন্ত্রাসবাদীকে কেন গুরু বা আইডল হিসাবে দেখতেন অফিসার? তার যা উত্তর মিলেছে তা-ও বেশ চমকপ্রদ। অফিসার শুনেছিলেন, লাদেন ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। শুধু তাই নয় কারিগরি বিদ্যায় লাদেন যে শ্রেষ্ঠ, এমনটাই বিশ্বস করতেন তিনি। সেই কারণেই লাদেনকে তাঁর আদর্শ হিসাবে বরণ করেছিলেন অফিসার। এবং তাঁর ছবি টাঙিয়ে রাখতেন অফিসে। কর্তৃপক্ষের মতে, একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে এই কাজ কিছুতেই করা যায় না। এই কাজ দেশদ্রোহিতার শামিল। আর তারই খেসারত দিয়ে চাকরি হারাতে হয়েছে ওই কর্মচারীকে।