মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন সে সুযোগ দেয়নি কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলাকে। শুধু তিনি নন, নির্বাচনে লড়ার সুযোগ হারিয়েছেন আরও ৩৩ জন। তাহলে বারাণসী কেন্দ্রে মোদির বিরুদ্ধে লড়ছেন কারা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
লোকসভা ভোটের শেষ দফায় বারাণসীতে নির্বাচন। এখান থেকেই বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়বেন নরেন্দ্র মোদি। এই মূহূর্তে গোটা দেশের নজরে এই বারাণসী কেন্দ্রের দিকে। যার একমাত্র কারণ অবশ্য মোদি নন। বরং তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চাওয়া কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলাকে নিয়ে বেশ কৌতুহল নেটদুনিয়ার।
আরও শুনুন: যে রাঁধে সে রাজনীতিও করে! ভোটের হাওয়ায় পলিটিক্সের হেঁশেলনামা
চলতি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন প্রচারের সভায় সে কথা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন। এবারের নির্বাচনে ৪০০ আসন পাওয়ার দাবিও তুলেছেন বারবার। যদিও বিরোধীরা এই দাবি মানতে নারাজ। মোদির বক্তব্যে পালটা হিসেবে একাধিক যুক্তি সামনে এনেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। অন্যান্য বিরোধী দলও একইভাবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। সবমিলিয়ে গোটা দেশে ভোটের হাওয়া বেশ গরম। এই আবহে সামনে এল মোদির কেন্দ্র বারাণসীর প্রার্থী তালিকা। যেখানে মোদি সহ অন্যান্য দলের প্রার্থী নাম রয়েছে। এমনিতে যে কেউ ভোটে লড়তে পারে। শুধু মানতে হবে কমিশনের ঠিক করে দেওয়া কিছু নিয়ম। সেইমতো মনোয়নন জমা দিলেই সুযোগ মিলবে ভোটে দাঁড়ানোর। বড় কোনও দল সুযোগ না দিলে, নির্দল হিসেবেও লড়াইয়ে নামা যায়। শর্ত একটাই, কমিশনের নির্দিষ্ট করা ওই নিয়ম মানতে হবে। অন্যান্য কেন্দ্রে এই নিয়ম মেনেই অনেকে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ান। কোথাও কোথাও ভোটের হাওয়া ঘুরিয়ে দেন এই নির্দল প্রার্থীরাই। সেইমতো মোদির বিরুদ্ধেই বারাণসী থেকে লড়তে চেয়েছিলেন ৪০ জন। কিন্তু তার মধ্যে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৩৩ জনের। তালিকায় কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলাও রয়েছেন।
আরও শুনুন: নিজের গাড়ি নেই খোদ প্রধানমন্ত্রীর! একই দশা লোকসভার একাধিক বড় প্রার্থীর
স্বাভাবিক ভাবেই মনোনয়ন বাতিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমেডিয়ান। বাকিদেরও প্রতিক্রিয়া প্রায় এক। এর আগে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন শ্যাম। তাও শেষ পর্যন্ত মনোয়ন জমাটুকু দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাও বাতিল হয়ে গেল। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোদির বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে লড়বেন ৬ জন। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের অজয় রাই, বহুজন সমাজ পার্টির অথর জামাল লারি, আপনা দলের গগন প্রকাশ, নির্দল হিসেবে লড়ছেন সঞ্জয় কুমার এবং দিনেশ যাদব। এছাড়া আরও এক প্রার্থীর নাম রয়েছে কমিশনের তালিকায়, কিন্তু আশ্চর্যভাবে তাঁর নাম বাতিলের তালিকাতেও রয়েছে। তবে এঁরাই শেষ অবধি মোদির বিরুদ্ধে লড়বেন কি না সে নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কারণ মনোয়নন প্রত্যাহারের সময় এখনও শেষ হয়নি। তাই ভোটের আগে কোনও প্রার্থী লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতেই পারেন। লোকসভার একেবারে শেষ দফায় বারাণসী কেন্দ্রে নির্বাচন। সেদিনই জানা যাবে এবারে ভোটের ময়দানে মোদির সরাসরি প্রতিপক্ষ কারা।