মঙ্গলবার বাড়িতে পাঁঠার মাংস রান্না করা হবে কি না, তাই নিয়েই জোর ঝগড়া বেধেছিল দম্পতির। কিন্তু সেই ঝগড়া থামাতে এসেই যে প্রাণ চলে যাবে একজন জলজ্যান্ত মানুষের, সে কথা কে-ই বা ভেবেছিল! কিন্তু এমন মর্মান্তিক ঘটনাই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কোনও দম্পতির ঝগড়াঝাঁটির মাঝে ঢুকে পড়ার ফল যে এমন মর্মান্তিক হতে পারে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি এই ব্যক্তি। আর সেই না ভাবার দাম তাঁকে আক্ষরিক অর্থেই নিজের জীবন দিয়ে চুকিয়ে দিতে হল। প্রতিবেশী দম্পতির ঝগড়া থামাতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই খুইয়ে বসলেন তিনি। সম্প্রতি এমন মর্মান্তিক ঘটনাই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে।
আরও শুনুন: ‘লক্ষ্মীপুজো না করেও কেন ধনী মুসলিমরা?’, প্রশ্ন তুলে বিপাকে বিজেপি বিধায়ক
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে?
জানা গিয়েছে, ভোপালের বাসিন্দা পাপ্পু এরওয়ার এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে জোরদার ঝামেলা বেধেছিল। যদিও সেই ঝগড়ার কারণটিকে নগণ্যই বলা চলে। মঙ্গলবার বাড়িতে পাঁঠার মাংস রান্না করা হবে কি না, তাই নিয়েই তর্কবিতর্ক চলছিল দুজনের মধ্যে। আসলে মঙ্গলবার দিনটিকে পবিত্র বলে গণ্য করেন অনেক হিন্দুই। যে কারণে সেদিন আমিষ খাবার খেতে চান না তাঁরা। এক্ষেত্রেও ওই মহিলা মঙ্গলবার মাংস রান্না করার বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ ওই ব্যক্তি। এই নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। ওই দম্পতির জোর গলায় তর্কবিতর্কের আওয়াজ শুনে ঝগড়া থামাতে এসেছিলেন তাঁদের এক পড়শি। বিল্লু নামের ওই ব্যক্তি এই দম্পতির ঝগড়া থামিয়ে তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু গোল বাধে তার পরেই। কিছুক্ষণ পরে পাপ্পু তাঁর বাড়িতে চড়াও হন এবং তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। যার জেরে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
আরও শুনুন: পৃথিবী ধ্বংসের বার্তা দিচ্ছে মেরুদণ্ডের ‘ব্ল্যাক হোল’, অদ্ভুত দাবি ‘আধুনিক ব্রহ্মা’র
বিল্লু নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন খোদ হত্যাকারী অর্থাৎ পাপ্পুর স্ত্রী। তাঁর বয়ান মোতাবেকই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে এহেন তুচ্ছ কারণ ছাড়াও অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, সে দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।