অমুসলিম তরুণ-তরুণীদের মাদকের নেশা করিয়ে বিপথে চালিত করছে কেরলের মুসলিমদের একাংশ। যা না-কি এক ধরনের জিহাদ। যে জিহাদের নাম ‘মাদক জিহাদ’। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিশপের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। সাফ জানিয়েছেন, মাদকের সঙ্গে কোনও ধর্মের যোগ নেই। তথাপি গরম হাওয়া বইছে কেরলে।
‘লাভ জিহাদে’র কথা জানা ছিল, এবার নয়া শব্দবন্ধ ‘নারকোটিক জিহাদ’ বা ‘মাদক জিহাদ’। যা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে কেরলে। শুধু কেরলে কেন, বিতর্কের ঢেউ ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে।
আরও শুনুন: তাক করা তালিবানি বন্দুকের মুখে নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে আফগান মহিলা, কুর্নিশ বিশ্ববাসীর
বিতর্ক দানা বেঁধেছে কেরলের এক বিশপের বিস্ফোরক অভিযোগে। তাঁর দাবি, অমুসলিম তরুণ-তরুণীদের মাদকের নেশা করিয়ে তাঁদের বিপথে চালিত করছে কেরলের মুসলিমদের একাংশ। বলা বাহুল্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার মতো অভিযোগ। ইতিমধ্যে বিশপের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন খোদ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সব মিলিয়ে ওনাম পরবর্তী করোনা বিধ্বস্ত কেরলে নতুন অস্বস্তির নাম ‘মাদক জিহাদ’।
কেরলের মার্থ মারিয়াম পিলগ্রিম চার্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিশপ জোসেফ কাল্লারাঙ্গাট। তাঁর বক্তব্য, লাভ জিহাদের পরে নতুন জিহাদ হল ‘মাদক জিহাদ’। এই জিহাদের টার্গেট না-কি অমুসলিম যুবক-যুবতীরা। তাঁর কথায়, হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কমবয়সি ছেলেমেয়েদের মাদকাসক্ত করতে মাদক মেশানো আইসক্রিম পার্লার, জুস সেন্টার খুলেছে কট্টরপন্থী জেহাদিরা। তারা রেভ পার্টিও চালাচ্ছে। সেখানে মাদক সরবরাহ করা হচ্ছে। এভাবে ফাঁদে ফেলে অমুসলিম ছেলেমেয়েদের নেশাগ্রস্ত করা হচ্ছে। যার পর অনেকেই পড়াশুনো ছেড়ে দিচ্ছে, কারও চাকরি চলে যাচ্ছে। এমনকী তাদের মগজধোলাই দিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিশপ এমনও অভিযোগ করেন, যে এভাবেই কেরলের কয়েকজন অমুসলিম কিশোরী ধর্মান্তরিত হয়, পরবর্তীকালে আইএস জঙ্গি হয়ে ওঠে তারা।
আরও শুনুন: ‘স্যার’, ‘ম্যাডাম’ আর নয়, ঔপনিবেশিক সম্বোধন রদ করে নজির কেরল পঞ্চায়েতে
মাদক জিহাদের পন্থা কেন নিয়েছে জঙ্গিরা? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিশপ বলেন, জঙ্গিরা বুঝেছে, ভারতে হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে অস্ত্রের সাহায্যে ধ্বংস করা যাবে না। তাই লাভ জিহাদ ও মাদক জিহাদের মতো রাস্তা নেওয়া হচ্ছে। যদিও বিশপের কথা মানতে নারাজ স্বয়ং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তীব্র আপত্তি জানিয়ে বিজয়ন বলেছেন, জানি না এমন মন্তব্য কেন করেছেন উনি। মাদকের সঙ্গে কোনও ধর্মের যোগ নেই। কেউই এই বিষয়টিকে উৎসাহিত করে না।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।