পেঁয়াজের দাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নির্মলা সীতারমণ। এবার ফের তিনি অর্থমন্ত্রী হতেই দেখা গেল, লাফিয়ে বাড়ল পেঁয়াজের দাম।
পেঁয়াজের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছিলেন নির্মলা সীতারমণ। তাঁর সাফ বক্তব্য ছিল, তিনি তো নিজে পেঁয়াজ খান না। সুতরাং দাম বাড়লেই বা কী আসে যায়, এমনই এক ইঙ্গিত লুকিয়ে ছিল সে মন্তব্যে। মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে খোদ অর্থমন্ত্রীর এহেন দায়সারা মন্তব্যে কম জলঘোলা হয়নি সেসময়। এবারও মোদি সরকারের তৃতীয় জমানায় অর্থমন্ত্রী হয়েছেন সেই নির্মলাই। আর এখনও, পেঁয়াজ যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। ফের সেই পেঁয়াজের দামই চড়েছে অস্বাভাবিক বেশি। হ্যাঁ, সম্প্রতি ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। যা নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছে অর্থমন্ত্রীর আগের সেই মন্তব্য।
আরও শুনুন:
যত দোষ আমিষে! অথচ মাছ-মাংস নয়, ভোটের হাওয়া ঘোরাল ডাল-সবজিও
এমনিতে ভোটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস-সবজির। ভোট মিটেছে, নতুন সরকার গড়ার কাজও আপাতত শেষ। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির সেই প্রবণতায় দাঁড়ি পড়েনি এখনও। বরং ভোট মিটতে না মিটতেই, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে আলু পেঁয়াজের অসম্ভব দাম বেড়ে গিয়েছে। সবুজ শাকসবজিও যে সেই তালিকায় খুব একটা পিছিয়ে আছে, তাও নয় অবশ্য। গরমের কারণে যে দাম আগে থেকেই চড়ার দিকে ছিল, তার উপরেই ফের চাপল মূল্যবৃদ্ধির বোঝা। আর এই বর্ধিত দামের তালিকাতেই হাজির সেই পেঁয়াজ।
আরও শুনুন:
আমিষ-নিরামিষে দ্বন্দ্ব অহর্নিশ! বহু রূপে সম্মুখে ফিরছে জাতের ভাগাভাগিই?
শুধু রাজধানী শহরের হিসেব নিলেই দেখা যাচ্ছে, জুনের গোড়ায় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। যা এখন মোটামুটি কেজিতে ৫০ টাকায় এসে ঠেকেছে। এমনকি পাইকারি বাজারেও দাম বেড়েই চলেছে। দেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ বাজার, নাসিকের লাসালগাঁও মান্ডিতেও ১৭ টাকা থেকে কেজি প্রতি ২৬, এমনকি ৩০ টাকাতেও পৌঁছেছে পেঁয়াজের দর। ভোটের উৎসব মিটলেও, সামনেই বকরিদ উপলক্ষে দাম আরও বাড়তে পারে বলেই আন্দাজ করছেন ব্যবসায়ীরা।