গলায় নেই চিরাচরিত মাফলার। আর তা দেখেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন এক মহিলা। উত্তরে কী বললেন আপ প্রধান? শুনে নেওয়া যাক।
পাখির চোখ নির্বাচন। তার আগে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ব্যতিক্রম নয় আম আদমি পার্টিও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে ময়দানে নেমেছে আপ। আর এই প্রচারে বেরিয়েই অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল কেজরিওয়ালকে। না, কোনও রাজনৈতিক বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে। বরং একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্নেরই সামনে পড়েছিলেন আপ নেতা। সহজভাবেই সে প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। যে উত্তরের প্রসঙ্গ টেনে কেজরিওয়ালকে ‘মানুষের মুখ্যমন্ত্রী’ বলে তুলে ধরতে চাইছে তাঁর দল। অন্তত আপের টুইট থেকে সেই মনোভাবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আরও শুনুন: বিয়ের আসরে উচ্চবর্ণের ঝামেলার ভয়, দাঁড়িয়ে থেকে দলিত কন্যার বিয়ে দিলেন ৬০ পুলিশকর্মী
কী ঘটেছে ঠিক?
চলতি মাসের চার তারিখেই দিল্লিতে পুরসভা ভোট। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে জোর দিচ্ছে আপ। পথে নেমেছেন খোদ দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। সম্প্রতি এই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েই এক মহিলার স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। যে ঘটনার একটি ভিডিও আপের তরফে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পথে ভিড় করে থাকা জনতার সঙ্গে আলাপচারিতা সারছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁদের মধ্যে থেকেই এক মহিলা তাঁকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘স্যার, আপনি মাফলার পরেননি?’ এমনিতে কেজরিওয়ালকে প্রায়শই মাফলার ব্যবহার করতে দেখা যায়। এমনকি একবার তিনি ব্যঙ্গের সুরে এ কথাও বলেছিলেন যে, সিবিআই যদি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়, তবে অসংখ্য মাফলার ছাড়া আর কিছুই পাবে না তারা। কিন্তু এদিনের প্রচারে সেই ‘সিগনেচার লুক’-এ দেখা যায়নি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রথমেই হেসে ফেলেন কেজরিওয়াল। তারপর আমজনতার সুরেই বলেন, এখনও অত ঠান্ডা পড়েনি। ওই মহিলা এবং তাঁর সঙ্গীর অনুরোধে একটি সেলফিও তোলেন আপ সুপ্রিমো। সকলকে যাতে দেখা যায়, সেজন্য নিজের হাতেই ফোনটি ধরে ছিলেন তিনি। আর এই সব ঘটনাকেই নিজেদের অনুকূলে তুলে ধরার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে আপের তরফে। নেতাসুলভ ব্যবহারে নয়, বরং আমজনতার ভিড়ে মিশে গিয়েই যে তাঁদের মন জয় করতে চান কেজরিওয়াল, ভোটের আগে সে কথাই প্রচার করতে মরিয়া আম আদমি পার্টি।