ঘরে হোক বা বাইরে, দিনে হোক বা রাতে, নারীরা আসলে কতখানি সুরক্ষিত? এই প্রশ্নেই উত্তাল গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষার জন্য নারীদের নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পরামর্শ বিজেপি বিধায়কের। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
নারী সুরক্ষার প্রশ্নটি নতুন নয়, পুরোনোও নয়। সর্বত্র, সবসময়েই তা জেগে থাকে। মাঝে মাঝে একেকটি ঘটনা সে প্রশ্নকে আরও জোরদার করে তোলে কেবল। যেমনটা ঘটছে সাম্প্রতিক সময়ে। নারীর সুরক্ষার দাবিতে দিকে দিকে সরব হচ্ছেন মেয়েরা। প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন সেই দাবিতে। আর এই পরিস্থিতিতেই নারীদের নিরাপত্তার জন্য তাঁদের নিজের হাতেই অস্ত্র ধরার বার্তা দিলেন বিজেপি বিধায়ক। স্কুল-কলেজের পড়ুয়া কিশোরী-তরুণীদের হাতে হাতে অস্ত্র বিলি করে সাফ জানালেন, কেউ হেনস্তার চেষ্টা করলে সেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা না করে ছেড়ে দেওয়া চলবে না। নিজেদেরই রুখে দাঁড়িয়ে উচিত জবাব দিতে হবে। আর সেই জবাব দেওয়ার জন্যই নারীদের নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পরামর্শ বিজেপি বিধায়কের।
সাম্প্রতিক কালে নারীসুরক্ষার প্রশ্নে উত্তাল দেশ। একের পর এক ধর্ষণ কাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে দেশজোড়া ধর্ষণ সংস্কৃতিকে। এই সময়েই নারীদের উদ্দেশে এহেন বার্তা দিলেন বিহারের বিজেপি বিধায়ক মিথিলেশ কুমার। দুর্গাপুজোর আবহে বিহারের সীতামারিতে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘‘যদি কেউ আমাদের বোনেদের ছোঁয়ার সাহস দেখায়, তবে তরোয়াল দিয়ে তার হাত কেটে ফেলা হবে। আর তা করার মতো সাহস ও ক্ষমতা জোগাতে হবে নারীদের মধ্যে।” তার পরই তিনি ওই অনুষ্ঠান থেকে স্কুল এবং কলেজপড়ুয়া কিশোরী, তরুণীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। বিলি করেন তরোয়াল।
একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে অস্ত্র বিলি করছেন বিধায়ক, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক উসকে উঠেছে। প্রকাশ্য জনসভায় এহেন মন্তব্য করা উসকানির নামান্তর, উঠছে এ কথাও। তবে নারীসুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত না করা গেলে, আশঙ্কা আর ভয় থেকেই যে পালটা আঘাত উঠে আসবে না, তা কিন্তু বলা যায় না। সেই অস্থিরতায় পৌঁছনোর আগেই যে ধর্ষণ হেনস্তা নিয়ে শাসকের জোরালো পদক্ষেপ জরুরি, বিধায়কের এহেন কাজ তারই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেল।