অত্যাচারিত হচ্ছেন ওপার বাংলার হিন্দুরা। প্রতিবাদে পথে নামলেন এদেশের মুসলিমরা। এর আগে বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে মসজিদে চাদর চড়ানো হয়েছিল। এবার সরাসরি পথে নেমে মোমবাতি মিছিল করলেন তাঁরা। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অশান্ত বাংলাদেশে চরমে পৌঁছেছে হিন্দু নির্যাতন। প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন অনেকেই। এবার এই ইস্যুতে মোমবাতি মিছিল করতে দেখা গেল এ দেশের মুসলিমদের। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে মোমবাতি মিছিল জনপ্রিয়, এবার সেই পথেই বাংলাদেশের অরাজকতা বন্ধের ডাক দিলেন এদেশের মুসলিমরা।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ দেশের সকলেই কমবেশি চিন্তিত। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বাংলদেশের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক সেরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। আলোচনার মূল বিষয় ছিল সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। সেখানে বারবার সংখ্যালঘু অত্যাচারের প্রসঙ্গ তোলেন ভারতের প্রতিনিধি। অবিলম্বে বাংলাদেশে হিন্দু অত্যাচার বন্ধ হোক, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে স্রেফ আলোচনা এবং অনুরোধে কাজ হবে না, এমনটাই মনে করছেন এ দেশের অনেকে। এ দেশের বর্তমান শাসক দলের বিরোধীরা এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। প্রায় সেই দাবিই শোনা গেল লখনউয়ের মোমবাতি মিছিলে। যার দায়িত্বে ছিলেন সেখানকার শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা। বাংলাদেশের হিন্দু অত্যাচার কোনওভাবেই মানতে পারছেন না তাঁরা। যত দ্রুত সম্ভব তা বন্ধ করতে হবে, এই দাবিতেই পথে নেমেছিলেন তাঁরা। প্রয়োজনে ভারত সরকারকে আরও কড়া হতে হবে, চাপ বাড়াতে হবে প্রতিবেশী দেশের প্রশাসনের উপর। তবেই সবকিছু ঠিক করা সম্ভব, মনে করছেন মিছিলকারীরা। শুধু বাংলাদেশ নয়, মিছিলে পাকিস্তানের প্রসঙ্গও তোলেন তাঁরা। দাবি, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। শুধু তাই নয়, তাঁরা সিরিয়া নিয়েও একাধিক মন্তব্য করেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি ভারতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন আন্দলনকারীরা।
আসলে, শান্তিপূর্ণ এই মিছিলের মাধ্যমে তাঁরা চেয়েছেন অহিংসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে। মানুষ শান্তিতে থাকুন, নির্ভয়ে বাঁচুন, নৃশংসতা কাম্য নয়, প্রতিটি স্লোগানে এই বার্তাই লুকিয়ে ছিল। তবে লুকোছাপা করে নয়, প্রকাশ্যেই নিজেদের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন নিজেদের দাবি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য মসজিদে প্রার্থনা করেছিলেন এ দেশের মুসলিমরা। তারপরেও পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি। বরং অসহায় নিরুপায় হয়ে স্বদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে শুরু করেছেন ওপার বাংলার অনেকেই। এখানে এসে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা তাঁরা শোনাচ্ছেন তা শিহরিত হওয়ার মতোই। এই আবহে মোমবাতি মিছিলে করলেন যোগীরাজ্যের মুসলিমরা।