পাকা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই খুশিতে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদিকে চিঠি লিখেছেন এক বৃদ্ধা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন তিনি। সেই চিঠি হাতে পেয়ে আপ্লুত হয়েছেন মোদিও। চিঠির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনিও বৃদ্ধাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আসুন শুনে নিই।
শুধু দেশে নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বিদেশিরাও। এমনকি প্রথম বিশ্বের রাষ্ট্রনায়করাও মোদিকে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে একবাক্যে মেনে নেন। বিজেপি সমর্থকরা তো বটেই, অনেক সাধারণ মানুষও মোদির গুণগান করেন। সেই তালিকাতেও নাম লিখিয়েছেন এই বৃদ্ধা। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের জেরেই নতুন পাকা বাড়ি পেয়েছেন তিনি। আর সেই খুশিতে খোদ মোদিকে উদ্দেশ্য করে একটা চিঠি লিখে ফেলেছেন তিনি।
আরও শুনুন: মন্দির না মসজিদ! ‘জ্ঞানবাপী আসলে বৌদ্ধ মঠ’, দাবি পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে
ঘটনাটি দিল্লির। সেখানকার কিছু বস্তি এলাকা পুনর্বাসনের কথা ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৩৪৫ কোটি টাকা। বস্তিগুলির সমস্ত ঘর ভেঙে নতুন আবাসন তৈরি করা হয়। যেখানে বস্তির বাসিন্দারা প্রত্যেকে একটি করে নতুন ফ্ল্যাট পান। এই বৃদ্ধাও ফ্ল্যাট পেয়েছেন। আর তারপরই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে এলাকা পরিদর্শনে যান বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তাঁর হাতেই মোদিকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিটি দিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। জয়শংকরও দায়িত্ব নিয়ে সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন। যা দেখার পর আপ্লুত হয়েছেন মোদিও।
আরও শুনুন: চাই রাম মন্দিরের পুরোহিতের চাকরি, ধর্মীয় আচার শিখতে ব্যস্ত যোগীরাজ্যের পড়ুয়ারা
চিঠির ছবি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পেজ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। চিঠিতে মহিলা একাধিক কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রথমেই তাঁকে পাকা বাড়ি উপহার দেওয়ার জন্য তিনি ও তাঁর গোটা পরিবার মোদির কাছে কৃতজ্ঞ এমন কথা লিখেছেন। তাঁর মতে, এই বাড়িতে সুস্থ পরিবেশে বড় হওয়ার সুযোগ পাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সেইসঙ্গে করোনা ভ্যাক্সিনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন মহিলা। সেক্ষেত্রেও মোদিকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। চিঠি পড়ে উত্তর দিয়েছেন মোদিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় চিঠির ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সেই উত্তর লিখেছেন তিনিও। প্রথমেই ওই মহিলাকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি যে বিদেশমন্ত্রীর মারফত এই চিঠি পেয়েছেন সে কথাও লিখেছেন। পাশাপাশি এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, আগামীদিনে একইভাবে দেশবাসীর জন্য কাজ করে যাবে তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এই পোস্ট দেখে আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরাও। তাঁরাও দিল্লির ওই বস্তি পুনর্বাসনের প্রকল্পের জন্য মোদির প্রশংসা করেছেন। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন কারণে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন অনেকেই। কখনও কারও সাহায্য করা, আবার কখনও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কারও উপকৃত হওয়া, সবক্ষেত্রেই কৃতিত্বের ভাগীদার হন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রশংসিত হলে বেশিরাওভাগ ক্ষেত্রেই তা নেটদুনিয়ায় ভাগ করে নেন মোদি। অন্যদিকে কেউ কোনও অভিনব কাজ করলে বাহবা দিতেও ভোলেন না তিনি। তাই দেশবাসীর কাছে নরেন্দ্র মোদির মতো জনপ্রিয় নেতা নেই বললেই চলে। এই ঘটনার জেরে সেই সুনাম যে আরও খানিকটা বাড়ল, একথা বলাই বাহুল্য।