৩ হাজার কোটির মালিক! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কুকুরকে ঘিরে থাকেন লাস্যময়ী তরুণীরা

একটি কুকুরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে একাধিক লাস্যময়ী তরুণী। তাঁদের মাঝখানে রাজার মতো বসে রয়েছে সে। এমন ছবি দেখে অবাক হচ্ছেন? শুধু তো এটুকুই নয়। বিলাসবহুল প্রাসাদ থেকে কোটি কোটি টাকা, কী নেই তার! তার সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে ভিরমি খাবেন অনেকেই। আর তাই, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুরের শিরোপা উঠেছে তারই মাথায়।

আরও শুনুন: কলিযুগের জতুগৃহ! সত্যিকারের গ্রেনেড দিয়ে বাড়ি সাজালেন মার্কিন ব্যক্তি

পৃথিবীর ধনীতম জার্মান শেপার্ড প্রজাতির ওই কুকুরের নাম চতুর্থ গান্থার। আপাতত যে বাড়িতে আস্তানা তার, সেটি এককালে ছিল পপ সেনসেশন ম্যাডোনার মালিকানাধীন। তবে কেবল এই একটিই বাড়ি নয়, বিভিন্ন দেশে একাধিক বাড়ি রয়েছে গান্থারের। রাজার হালে থাকে সে। সপ্তাহান্তে বেড়াতেও যায়। তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মোটে পছন্দ নয়। চাই ব্যক্তিগত গাড়ি। তাও আবার যে সে গাড়ি নয়, হতে হবে লিম্যুজিন। যাতে হাত পা ছড়িয়ে বসাও যায়, আবার মন চাইলে এ মাথা থেকে ও মাথা দৌড়ে বেড়ানোও যায়। হোটেল নিয়েও তার ছুতমার্গ রয়েছে বিস্তর। পাঁচতারা হোটেলের সার্ভিসেই একমাত্র ভরসা তার। যাতে খাবারদাবার থেকে বিছানার চাদর, সবকিছুই হয় পরিপাটি। থাকে স্পা-র বন্দোবস্তও। এমনই নানা বায়না রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুর চতুর্থ গান্থারের। আর সেইসব বায়নাক্কা তামিল করার জন্য লোকজনের সংখ্যাও কম নয় তার।

আরও শুনুন: বিকিনি পরেই খামারের কাজ সামলান তরুণী, দেখে কী প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের?

এই কুকুরটির যা সম্পত্তি, তার অনেকটাই অবশ্য মিলেছে উত্তরাধিকার সূত্রে। চতুর্থ গান্থারের বাবা তৃতীয় গান্থার ছিল জার্মানির এক ধনী মহিলা কার্লোত্তা লিবেনস্টাইনের পোষ্য। উত্তরাধিকার সূত্রে মালকিনের থেকে ৮ কোটি মার্কিন ডলার পায় সে। তার মৃত্যুর পর ওই টাকা যায় ছেলে চতুর্থ গান্থারের নামে। বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করার পর ফুলেফেঁপে ওই টাকা এই মুহূর্তে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। আর পিতৃদত্ত সেই সম্পত্তিকে পুঁজি করে আপাতত বিলাসব্যসনে জীবন কাটাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুর।