শখের বশে মানুষ কত কিছুই না করে। কিন্তু তাই বলে বিস্ফোরক দিয়ে বাড়ি সাজানো! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। নিজের সাধের বাড়িটিকে মিলিটারি চেহারা দেওয়ার জন্য গ্রেনেড দিয়েই বাড়ি সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক মার্কিন ব্যক্তি। কিন্তু সাজানোর সময় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সেইসব গ্রেনেড একেবারে আসল। কী হল তারপর? আসুন শুনে নিই।
যত্ন করে নিজের সাধের বাড়িটিকে সাজিয়েছিলেন আমেরিকার এক ব্যক্তি। কিন্তু সাজানোর জন্য তিনি যা ব্যবহার করেছিলেন, তা জানার পর ঘুম উড়ে যায় তাঁর প্রতিবেশীদের। ঘটনার জেরে পুলিশকে রীতিমতো অভিযানও চালাতে হয় সেই এলাকায়। কারণ, এই ব্যক্তি না বুঝেই বাড়ি সাজিয়েছেন সত্যিকারের হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে।
আরও শুনুন: বিকিনি পরেই খামারের কাজ সামলান তরুণী, দেখে কী প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের?
মহাভারতে পঞ্চপাণ্ডবকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল জতুগৃহ। এই ঘটনা যেন সেই কথাই আবারও মনে করিয়ে দিল। তবে এখানে দাহ্য পদার্থ নয়। বরং গোটা বাড়িটাই ভয়ংকর বিস্ফোরক দিয়ে সাজিয়েছেন এক ব্যক্তি। যার প্রধান উপকরণ হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন হ্যান্ড গ্রেনেড। বর্তমান যুগে আধুনিক অস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম এই ‘হ্যান্ড গ্রেনেড’। বিস্ফোরক হিসেবে এর ভূমিকা যাকে বলে ভয়ংকর। হাতের মুঠোর মাপের এই অস্ত্রের উপর থাকে সামান্য একটি পিন বা চাবি। যা খুলে দিলেই প্রচণ্ড আওয়াজ সহ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলে এই অস্ত্র। কিন্তু এহেন ভয়াবহ অস্ত্র দিয়ে কেউ বাড়ি সাজাতে পারেন? কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নওয়াল অঞ্চলের এই বাসিন্দা ঘটিয়েছেন এমনই অদ্ভুত কাণ্ড। তাঁর শখ ছিল নিজের সাধের বাড়িটিকে মিলিটারি ধাঁচে সাজাবেন। যার জন্য বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে বাড়ির ভিতরের অংশ সাজিয়েছিলেন তিনি। ব্যবহার করেছিলেন বেশ কিছু গ্রেনেডও। কিন্তু সেই সময় তিনি জানতেনও না যে গ্রেনেডগুলি আসল। নিয়মমতো তাঁর বাড়িতে রুটিন চেক আপ করতে আসে একদল পুলিশ। তাঁরাই এইসব অস্ত্র দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে বম্ব স্কোয়াডে খবর পাঠানো হয়। তড়িঘড়ি সরিয়ে ফেলা হয় ওই বাড়ির আশেপাশে থাকা লোকজনদেরও। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই এলাকার রাস্তাগুলিও। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টার পর গ্রেনেডগুলি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশ।
আরও শুনুন: গৃহহিংসা আইনে সুরক্ষিত নন পুরুষেরা, মত দিল্লি হাই কোর্টের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পরিমাণ বিস্ফোরক ওই বাড়িতে মজুত ছিল তা আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা মুহূর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ঠিক সময়ে পুলিশের নজরে না এলে ঘটতে পারত ভয়ংকর বিপদ। তবে এই কাজ যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়নি, বাড়ির মালিককে জেরা করে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। নিতান্তই শখের বশে এমন অদ্ভুত সামগ্রী দিয়ে ঘর সাজানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই অদ্ভুত শখে যে বেশ বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
রোগমুক্তির উপায় নাকি হাতের মুঠোতেই। শুনে নিন।
ঠিক কেমন তাঁর জীবনের গল্প? শুনে নিন।
শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।
নিকোলাসের ছবির কপিরাইট নেই, কেন?
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।
কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি? শুনে নিন।
এমনটা কি আদৌ সম্ভব? শুনে নিন।
