প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনই কার্যকর হচ্ছে না সিএএ। পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। যোগীরাজ্যে ফের ধর্ষণকাণ্ড। নাইট কারফিউ-তে আরও কড়াকড়ি নবান্নের। শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
হেডলাইন :
আরও শুনুন: 26 জুলাই 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যে গঠিত তদন্ত কমিশন
আরও শুনুন: 25 জুলাই 2021: বিশেষ বিশেষ খবর – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়ি পাতার নিন্দায় কংগ্রেস
বিস্তারিত খবর :
1. দিল্লিতে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ভোটযুদ্ধের পর এই সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ছিল তুঙ্গে। মঙ্গলবার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন দুজনে। জানা যাচ্ছে, আলোচনায় উঠে এসেছে একাধিক বিষয়। জিএসটি-সহ রাজ্যের বকেয়া, টিকার জোগান ইত্যাদি নিয়ে হয় আলোচনা। বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দু বছর পর দিল্লিতে এসেছি। জয়ের পর এটি প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ রাজ্যের টিকাকরণ নিয়ে তিনি জানান, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে তিনি রাজ্যে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে চান। কিন্তু টিকার সঠিক জোগান না পাওয়ায় তিনি সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছেন না। জনসংখ্যার নিরিখে টিকার জোগান যথেষ্ট কম। তাই তিনি কেন্দ্রের কাছে টিকার জোগান বাড়াতে আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বহুদিন ধরে আটকে থাকা রাজ্যের নাম পরিবর্তন বিষয়েও। দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও বলেছেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি বলেছি, এবার দয়া করে বিষয়টি দেখুন।’’
চব্বিশের লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে, তৃণমূলের পাখির চোখ অবিজেপি জোট গঠন। সেই উদ্দেশ্যে চার দিনের দিল্লি সফরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে ঠাসা কর্মসূচি। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বৈঠক করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে। দেখা করেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার সঙ্গেও।
আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে সনিয়া গান্ধীর। সেখানে বিরোধী জোটের নতুন কোনও সমীকরণ তৈরি হয় কি না, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজনীতি-মহল।
2. ফের পিছোল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা ‘সিএএ’ কার্যকর করার প্রক্রিয়া। নতুন আইনের বিধি প্রণয়নে আরও ৬ মাস সময় চাইল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, এই আইনের বিধি প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছে ২০২২-এর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গত প্রায় দু-বছর ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গোটা দেশজুড়ে কোভিড পরিস্থিতির জন্য কার্যকর করা যায়নি, এই আইন। ভ্যাকসিন এলে এই আইন কার্যকর করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এই মুহূর্তে কেন্দ্রের জন্য শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন কার্যকর হলে ভোটের আগে বাংলার মতুয়াদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। আবার সেটা করতে গেলে অসমের ভূমিপুত্রদের রোষানলে পড়তে পারে গেরুয়া শিবির। যার প্রভাব পড়তে পারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে। এই দোটানায় আরও কিছুদিন বিতর্কিত আইনের বিধি প্রণয়নের প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিতে বাধ্য হল কেন্দ্র বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাছাড়া, আইন পাশ হওয়ার সময়ও এ নিয়ে প্রচুর বিক্ষোভ হয়েছে। বিধি প্রণয়নের পরও সেই ধরনের বিক্ষোভের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে, বিতর্কিত এই আইন কার্যকর হওয়া আরও ৬ মাস পিছিয়ে গেল।
বিস্তারিত খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।