বাবাকে বিক্রি করা হবে এখানে। এই মর্মেই বিজ্ঞাপন দিয়ে বসল তাঁর বছর আটেকের শিশুকন্যাটি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গেলে কী করতে হবে, সে কথাও বলে দিয়েছে সে-ই। আসুন, তাহলে শুনেই নেওয়া যাক।
কোনও বাড়ির দরজায় বাড়ি ভাড়া কিংবা বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন লেখা বোর্ড ঝুলছে, এমনটা তো হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু সেইরকম বিজ্ঞাপনে যদি বাড়ি নয়, বাবাকে বিক্রি করা হবে বলে লেখা থাকে, তাহলে তো চমকে যেতেই হয়! আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছে এখানে। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এইরকমই একটি বিজ্ঞাপনের ছবি। যেখানে লেখা রয়েছে, “বাবা বিক্রি আছে! দাম ২ লক্ষ টাকা। বিস্তারিত জানতে চাইলে কলিং বেল বাজান।” আর সেই ছবি দেখেই চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের।
আরও শুনুন: পুজোর কেনাকাটায় বিল মেটাচ্ছেন কিউআর স্ক্যানে? সাবধান না হলে ফাঁকা হবে ব্যাঙ্ক
কিন্তু এহেন বিজ্ঞাপনের মানে কী? কী ঘটেছে আসলে? সোশাল মিডিয়ায় ওই ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই সে কথাও ফাঁস করেছেন এক ব্যক্তি। আসলে তাঁর শিশুকন্যাই এই বিজ্ঞাপনটি দিয়ে বসেছে। অর্থাৎ তিনিই হলেন সেই বাবা, যাঁকে বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তা এ যুগের শিশুরা যে অনেকটাই স্মার্ট, তাদের কাণ্ডকারখানা সকলকে অনেকসময়ই চমকেও দেয়, সে কথা তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই ঘটনাটি যেন সে সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে সামান্য একটি বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল মেয়ের। এমন তো কতই হয়ে থাকে, আবার মিটেও যায়। ঘটনায় মনখারাপ হয়েছিল দুজনেরই। তবে তিনি আর এই ঘটনা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাননি। মেয়ে কিন্তু তা ভোলেনি। বাবার সঙ্গে যখন ঝগড়া হচ্ছে, তখন আর কিছু না ভেবে সোজা বাবাকেই বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। তাই, নিজের খাতা থেকে পাতা কেটে নিয়ে পেন্সিল দিয়ে লিখেছে বাবাকে বিক্রির বিজ্ঞাপন। ধার্য করে দিয়েছে দামও। তবে কেনাবেচা তো আর এক কথায় হয় না, তাই ক্রেতা আরও কিছু জানতে চাইলে সে পথও নির্দেশ করে দিয়েছে ওই খুদে। কলিং বেল বাজিয়ে বাড়িতে এসেই তিনি বাকি কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছে সে। চিরকুটটি বাড়ির মূল দরজায় এমনভাবে আটকে রাখা যে যাতায়াতের পথে তা সকলেরই চোখে পড়ার কথা। যদিও কোনও ক্রেতা শেষমেশ মিলেছে কি না, সে কথা আর জানাননি ওই ব্যক্তি। তবে মেয়ের ধার্য করা দু লক্ষ টাকা দামকে নিজের মূল্য হিসেবে বেশ কম বলেই মনে করেছেন তিনি, আর তার জন্য আক্ষেপ করতেও ছাড়েননি। বাবা-মেয়ের এই কাণ্ড শুনে হতবাক নেটিজেনরাও।