ওনাম বাম্পার লটারির টিকিট কেটেছিলেন কেরলের অটোচালক জয়পালান। সোমবার সেই খেলার রেজাল্ট বের হয়। দেখা যায়, প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। প্রথম পুরস্কারের কত টাকার? বেশি না, ১২ কোটি টাকার। প্রশ্ন হল, কীভাবে নম্বর বাছলেন তিনি, যাতে করে একরাতে বদলে গেল জীবন?
রাতারাতি গরিব থেকে কোটিপতি, ঝুপড়ি থেকে রাজপ্রসাদের মালিক। যদি এমন হত? হয়তো স্বপ্ন দেখাই মানুষের সবচেয়ে বড় নেশা। প্রাত্যহিক জীবনের মারে সেই নেশা অবশ্যি কেটেও যায়। তাই গুপ্তধনের কাহিনি ভাল লাগ, যে কাহিনি নিয়ে সিনেমাও হয়। আসলে বাস্তবে সম্ভব না বলেই কল্প কাহিনিতে সাধ মেটানো। কিন্তু, সেই কল্পনা যদি কারও জীবনে বাস্তবে ঘটে যায়? যদি সত্যিই… রাতারাতি কোটিপতি হন কেউ?
সেই গা ছমছমে অভিজ্ঞতা হয়েছে কেরলের মারাডুর বাসিন্দা জয়পালান পি আর-এর। যিনি পেশায় অটোচালক। ভাগ্য ফেরানোর আশায় আর পাঁচজনের মতোই দিন দশেক আগে একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। সোমবারই তার ফল প্রকাশিত হয়। দেখা যায় তিনিই প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। কত টাকার পুরস্কার? বেশি না, ১২ কোটি টাকার। স্বভাবতই জয়পালনের চওড়া কপালের কথা জেনে খানিক হতবাক, খানিক ঈর্ষান্বিত পাড়াপড়শি। কারণ টিকিট তো অনেকেই কেটেছিলেন।
আরও শুনুন: মাসে আয় ৭৫ হাজার টাকা, আছে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট… দেশের ‘ধনী ভিখারি’র গল্পে অবাক নেটিজেনরা
আমাদের রাজ্যে যেমন পুজো বাম্পার, কেরলে তেমনই সে রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব ওনামের সময় বাজারে আসে ওনাম বাম্পার লটারির হাতছানি। সেই টিকিটই কেটেছিলেন জয়পালান। রবিবার তিরুঅনন্তপুরমের গোর্কি ভবনে যে লটারি খেলা হয়। কতজন সেই টিকিট কেটেছিলেন?
ওনাম বাম্বারের টিকিট কেটেছিলেন ৫৪ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় ভাগ্যাবান প্রথম পুরস্কার বিজেতাকে। যে পুরস্কার মূল্য ১২ কোটি টাকা। তবে কি-না 12 কোটি জিতলেও জয়পালন হাতে পাবেন ৭ কোটি টাকা। আর কি অটো চালাবেন তিনি? ব্যবসা করবেন? জয়পালানের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
আরও শুনুন: দশ বছর প্রেমিকাকে লুকিয়ে রাখলেন যুবক, অবশেষে মিলল চার হাত
আচমকা জীবন বদলের ঘোর কাটিয়ে এখনও ততখানি ভেবে উঠতে পারেননি এক রাত আগের গরিব অটোচালক। কিন্তু কী ভেবে প্রথম পুরস্কারের নম্বর পছন্দ করেছিলেন জয়পালান? এটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন অনেকেরই।
একটি সংবাদ সংস্থাকে কোটিপতি অটোচালক জানিয়েছেন, তাঁর লটারির নম্বর ছিল টিই৬৪৫৪৬৫। সংখ্যাটি দেখে ভাল লেগেছিল। ব্যাস, সেই কারণেই কিনেছিলেন। বাকিটা কপাল!