জি-২০ বৈঠকের যৌথ ঘোষণাপত্রে পরমাণু হুমকির নিন্দা। বিশ্বজুড়ে বিশ্বাস ফেরানোর বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির। জাপান, ব্রিটেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ভারতের। ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্কে অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সিভি আনন্দ বোসের। জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু প্রস্তাব মেনেই প্রকাশিত রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতি। দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কো।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ধূপগুড়িতে সবুজ ঝড়, উপনির্বাচনের ফলে ‘ইন্ডিয়া’-র জয় দেখছেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. কড়া নিরাপত্তায় দিল্লিতে শুরু বহুচর্চিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। তিনি বলেন, “এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ– এই মন্ত্রেই বিশ্বাস করে ভারত। সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের পথে হাঁটাই আমাদের উদ্দেশ্য।” এদিন ভারত মণ্ডপমের মঞ্চ থেকে সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে মানবকল্যাণের কথা মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের বাতাবরণ দূর করে সকলকে একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা, খাদ্যসংকট, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও চিনের আগ্রাসনের মুখে আসলে ভারসাম্য বজায় রাখারই চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলনে না এসে দিল্লিকে ইঙ্গিতে বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যৌথ ঘোষণার পথেই হাঁটল জি-২০। পরমাণু হুমকির নিন্দার জেরে চাপে রাশিয়া। এদিকে ভারতের উদ্যোগে জি-২০ জোটের স্থায়ী সদস্যপদ পেল আফ্রিকান ইউনিয়ন। এরই মধ্যে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন নরেন্দ্র মোদি। ভারত-জাপান যৌথ প্রকল্পগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবৃতি জাপ প্রধানমন্ত্রীর। দ্রুত চালু হওয়ার সম্ভাবনা ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডরের। পরিবেশ দূষণ রুখতে জৈব জ্বালানি নিয়েও একজোট শীর্ষবৈঠকের সদস্যরা। সব মিলিয়ে ভারতের সভাপতিত্বে বেনজির ভাবে সফল জি-২০ সম্মেলন, এদিনের কাজের খতিয়ান দিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
2. জি-২০ বৈঠকের আবহেও দেশের অভ্যন্তরে জারি রইল রাজনৈতিক দ্বৈরথ। একদিকে দেশের নামবদল বিতর্কে এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সামনের নামফলকে জ্বলজ্বল করছে ‘ভারত’ নামটি। সেখানে ‘ইন্ডিয়া’র কোনও স্থান নেই। বিশ্লেষকদের মতে, এভাবেই দেশের নামবদল বিতর্কে বিরোধীদের বার্তা দিলেন মোদি। এদিকে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে বিশাল আয়োজন করার পাশাপাশি যা কিছু দেশের ভাবমূর্তির পক্ষে অস্বস্তিকর, তাই সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে সরকার। ভারতের দারিদ্র্যের কোনোরকম চিহ্ন যাতে বিদেশি অতিথিদের নজরে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বস্তি, ফুটপাথের বাজার। ঝুপড়ি, ফুটপাথের ধারের শ্রমজীবীর দোকানে চালানো হয়েছে বুলডোজার। কিংবা সামনে রঙিন কাপড় বা টিনের আড়ালে তা ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এমনকী সাপখোপ বা হনুমান যাতে কোনওভাবে বিদেশি অতিথিদের নজরে না আসে, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে দিল্লি পুলিশ। আর এই ঘটনা নিয়েই এবার মোদি সরকারকে কড়া তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এইভাবে ভারতের ‘গরিবি’কে, ভারতের আসল বাস্তবকে আড়াল করার চেষ্টা করছে সরকার, এই মর্মেই আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।