বাগুইআটি জোড়া খুনে CID তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। সাসপেন্ড ওসি ও এএসআই। খুনের কারণ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, অনুমান পুলিশের। কয়লাপাচার মামলায় কাঠগড়ায় মলয় ঘটক। সিবিআই তল্লাশি আসানসোল ও কলকাতার ৬টি বাড়িতে। ৮ ঘণ্টা জেরা শেষে রেহাই মন্ত্রীর। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনাগোনার খবর নেই পুলিশের কাছে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ধমক পুলিশ আধিকারিকদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 সেপ্টেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বকেয়া নেই কোনও মহার্ঘ্য ভাতা, হাইকোর্টে হলফনামা রাজ্যের
বিস্তারিত খবর:
1. বাগুইআটির জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে বিধাননগরের নগরপাল সুপ্রতিম সরকার। মমতার প্রশ্ন, “কেন এত অবহেলা? কেন এত গাফিলতি?” ওসিকে সাসপেন্ড করা উচিত বলেও বৈঠকে মতপ্রকাশ করেন মমতা। এরপরেই ক্লোজ করা হয় বাগুইহাটি থানার ওসি কল্লোল ঘোষ ও এএসআইকে। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভিষেক নস্কর এবং অতনু দে-কে হত্যার ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা জানিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। পুলিশ চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা সিআইডির সঙ্গে কথা বলতে পারত। কাউকে ছাড়া হবে না। সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন।”
এদিকে খুনের কারণ নিয়ে আলোচনার মাঝেই উঠে এসেছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর স্ত্রী পূজার সঙ্গে নিহত কিশোর অতনুর মেলামেশা নিয়ে আপত্তি ছিল সত্যেন্দ্রর। পুলিশ নিশ্চিত যে, সত্যেন্দ্রর টার্গেট ছিল অতনু দে-ই। দীর্ঘদিন ধরেই অতনুকে খুনের ছক কষেছিল সত্যেন্দ্র। তবে এই জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। এর মধ্যেই তদন্তের ভার বর্তাল সিআইডির উপর।
2. কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে এবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটক। বুধবার আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। চেলিডাঙায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি-সহ আসানসোল ও কলকাতার মোট ৬টি বাড়িতে এদিন চলে সিবিআই তল্লাশি। মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির প্রতিবাদে আসানসোলের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। এদিকে ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে গিয়ে মন্ত্রীকে একটানা প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জেরা শেষে হাসিমুখেই বেরোতে দেখা যায় মন্ত্রীকে। তবে সিবিআই তৎপরতা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না।” সিবিআই আধিকারিকদের আচরণ নিয়ে কোনও অভিযোগ না থাকলেও মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণাও। পরে অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের আইনমন্ত্রী দাবি করেন, স্রেফ তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পদক্ষেপ করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ কিছুই বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি বলেও দাবি করেছেন মলয়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।