লোকসভার আগেই তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়। সন্দেশখালি থেকে দুর্নীতি, নানা ইস্যুতে ক্ষোভ নেতার। বিজেপির হয়ে ভোট ময়দানে নামার জল্পনা। নিজের অধীনে সব মামলা ছাড়লেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ইস্তফার সিদ্ধান্তে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এক দফায় ভোট, শুভেন্দুকে নজরে রাখার দাবি তৃণমূলের। সন্দেশখালি নিয়ে বসিরহাটের SP-কে কড়া বার্তা কমিশনের। জল্পনা উড়িয়ে পাকা ডার্বির দিনক্ষণ। সমর্থকদের কথা ভেবে তৃণমূলের ব্রিগেডের দিন কলকাতাতেই আইএসএল ডার্বি। বদলাতে পারে শুরুর সময়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ১৯৫ আসনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির, পুরনো কেন্দ্রেই মোদি-শাহ
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভার আগেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষের দৌত্যেও গলল না বরফ। সোমবার বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি দলেরও সব পদ ছাড়লেন তাপস রায়।
প্রায় ২৩ বছর ধরে ঘাসফুল শিবিরের একনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন বর্ষীয়ান বিধায়ক। এদিন তৃণমূল ছাড়ার পর অভিমানী সুরে তাপস রায় বলেছেন, সন্দেশখালি থেকে দুর্নীতি – নানা বিষয়ে দলের ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান চালালেও দলের তরফে কেউ প্রতিবাদ করেননি। এমনকী, দলনেত্রীও বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি। যদিও এদিনই তমলুক থেকে দলীয় নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ ইডি হানা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, ‘বড় কোনও ডিলের অফারেই রাতারাতি আদর্শ বদল’ করলেন নেতা। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, সব ঠিক থাকলে উত্তর কলকাতা থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন তাপস রায়।
2. অবসর ঘোষণার পর নিজের অধীনে থাকা সমস্ত মামলা ছাড়লেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে নিজের এজলাসে পৌঁছে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে, রায়দান বাকি সেসব মামলা থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই শেষ কাজের দিন আবেগের সাক্ষী রইল কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন হাত জোড় করে আইনজীবীদের একটা বড় অংশ তাঁকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পালটা বলেন, “এখানে আমার কাজ শেষ।” এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্তফার সিদ্ধান্তে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরাও। কেউ কেউ বলছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে চাকরিই পেতেন না। কিন্তু যাঁরা এখনও চাকরি পাননি, যাঁদের আন্দোলন এখনও চলছে, তাঁদের ভবিষ্যত কী তা নিয়ে ধন্দে আন্দোলনকারীদের একাংশ। তবে বিচারপতির অবসরের সিদ্ধান্তে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দীর্ঘদিন উনি যে মামলার বিচার করছেন, তা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অন্যদিকে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পদত্যাগ এবং রাজনীতিতে যোগ নিয়ে তোপ দাগলেন শিব সেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তাঁর মতে, হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি পদত্যাগের পর যদি রাজনীতিতে যোগ দেন তাহলে সেই রায় বা নির্দেশ নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। সবমিলিয়ে বিচারপতির অবসর গ্রহণ এবং রাজনীতির যোগের জল্পনা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।