অখিলেশের হয়ে প্রচারে বারাণসীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাত নয়, ৭ মার্চ দুপুরেই বাজেট অধিবেশন ডাকলেন রাজ্যপাল। তাঁর ভাষণ দিয়েই শুরু অধিবেশন। রুশ হামলা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব সংক্রান্ত ভোটাভুটি থেকে সরে দাঁড়াল ভারত। নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘যত জিতব তত নম্র হতে হবে’, পুরভোটে সবুজ ঝড়ের পর বার্তা মমতার
আরও শুনুন: 1 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রুশ গোলায় ইউক্রেনে মৃত্যু ভারতীয় পড়ুয়ার, সমবেদনা জানালেন মোদি-মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. ৭ মার্চ উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার ভোট। তার আগে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে বারণসীতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে করলেন প্রচারও। সরব হলেন বিজেপি বিরোধিতায়। বৃহস্পতিবার বারাণসীর ঘাটে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এক ধাক্কা অউর দো/ পুরা ইউপি সে ফেক দো’। তিন দশক আগে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় লালকৃষ্ণ আডবানির মুখে শোনা গিয়েছিল সেই স্লোগান। বৃহস্পতিবারের সভায় তারই কয়েকটা শব্দ অদলবদল করে নিলেন মমতা। বুঝিয়ে দিলেন বিজেপিকে হঠাতে বিজেপির অস্ত্রই প্রয়োগ করছেন তিনি।
বুধবার সন্ধেয় বারাণসীতে পা দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এদিনের সভা থেকে তার জবাব দিয়ে মমতা বললেন, ”বিজেপি হারবে জেনেই আমাকে এখান থেকে ফেরাতে চায়। কিন্তু জেনে রাখুন, আমাকে এভাবে ভয় দেখানো যাবে না। আমি ভীতু নই।” পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,”জয় শ্রীরাম নয়, ভুল কথা বলবেন না। বলুন জয় সিয়ারাম।” তিনি আরও জানান, ‘জয় সিয়ারাম’ স্লোগানে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আপনারা সীতামাতার নাম বলেন না। আপনারা শুধু জয় শ্রীরাম বলেন। এটা ঠিক নয়, ঠিক করে বলুন। জয় সিয়ারাম বলুন। আমরা মা দুর্গার পূজা করি। শ্রীরামচন্দ্র যার পূজা করেছিলেন, তার পূজা করি।” মমতার সাফ কথা, “আমাকে ধর্ম শেখাতে আসবেন না। আমার সঙ্গে গুন্ডামি করবেন না যোগীজি।” বাংলার বিধানসভা ভোটের তুমুল জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’ শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে।
বারাণসীর ঘাটে সেই প্রচারসভা থেকে তাঁর হুঙ্কার, ”জীবনে প্রচুরবার হামলার মুখে পড়েছি আমি। সামনে থেকে লড়েছি। আমাকে হারানো, ভয় পাওয়ানো এত সহজ নয়।” তবে এ দিন যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের স্লোগান তাঁদেরই বিদ্ধ করতে ব্যবহার করেছেন, তা চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলকে।
2. কাটল জটিলতা। অবশেষে ৭ তারিখ দুপুর দু’টোয় বাজেট অধিবেশন ডাকলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই শুরু হবে অধিবেশন। সমস্ত জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার অধিবেশন ডাকলেন রাজ্যপাল। এদিন বেলার দিকে রাজভবনে মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই অধিবেশন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ২ মার্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। ৪ মার্চ বাজেট পেশের সম্ভাবনা। কিন্তু পরে সেই দিনক্ষণ বদলে যায়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, ৭ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। ৭ তারিখ সেই অধিবেশন শুরু হওয়ার সুপারিশ জানিয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সুপারিশ ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল। টুইটারে তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া ওই সুপারিশ পাঠানো যায় না। সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে বিগত বছরের অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্য মন্ত্রিসভার সুপারিশ মেনেই বিধানসভা ‘প্রোরোগ’ করেন তিনি। ওইদিন পরিষদীয় দপ্তরের তরফে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণার জন্য আবেদন করা হয় বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। পরে রাজ্যের তরফে পাঠানো সুপারিশে দেখা যায় সময় ভুল ছাপা হয়েছে। কিন্তু সেই সূচি মেনে অধিবেশন ডাকার বিষয়ে অনড় ছিলেন রাজ্যপাল। অবশেষে গলল সেই বরফ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।