টুইটারের লোগোয় হাজির এই সারমেয়, জানেন এর পরিচয়?

ছোট্ট একটি সারমেয়। নিষ্পাপ সরল তার চাহনিতে ধরা আছে উদ্বেগ। আর সেই তাকানোতেই যাকে বলে একেবারে কুপোকাত হল নেটদুনিয়া। মোটামুটি ২০১০ সাল নাগাদ সে হাজির হয় লোকচক্ষুর সামনে। আর তারপর থেকেই তার জনপ্রিয়তায় আসে জোয়ার। একেবারে, এলেন দেখলেন আর জয় করলেন গোছের ব্যাপার। কত যে মিম তৈরি হয়েছে তার ছবিকে ভিত্তি করে তার ইয়ত্তা নেই। হ্যাঁ, এই পর্যন্ত শুনেই যে সারমেয়টির মুখ আপনার চোখে ভাসছে, তার কথাই বলছি। আমরা তাকে চিনি প্রায় প্রত্যেকেই। জনপ্রিয় এই সারমেয়টির নাম কাবসু।

আরও শুনুন: এক রাতেই মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ মানুষের, এই বিমান হামলা হার মানায় হিরোশিমাকেও

এই কাবসু আসলে একটি ফলের নাম। ২০০৮ সালে জাপানের এক শিক্ষিকা যখন এই খুদে সারমেয়টিকে দত্তক নেন, তখন তাঁর মনে হয়েছিল, খুদে সারমেয়টির মুখ নাকি অবিকল ওই ফলের মতো দেখতে। সেই থেকেই এমন নামকরণ। কাবসুর জন্ম হয় ২০০৫ সালে। যখন তার বছর পাঁচেক বয়স, তখন মালকিন একটি ব্লগ শুরু করেন। সেখানেই প্রথম দেখা যায় কাবসুকে। ব্লগের জন্য তার বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলেন ওই শিক্ষিকা। তার মধ্যে একটিতে দেখা যায়, সোফার উপর সে বসে আছে গুটিশুটি। তাকিয়েছে ক্যামেরার দিকে। খানিকটা ভয়, উদ্বেগ, সাবধানতা মেশানো এমন এক দৃষ্টিতে সে তাকিয়েছিল, যার তুলনা মেলে না। এরপর থেকেই এই ছবি লুফে নেন নেটদুনিয়ার অধিবাসীরা। মালকিন অবশ্য তখন ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেননি যে, কাবসু এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। বিস্ময়ে তিনি শুধু তখন দেখেছিলেন, কাবসুর ওই অভিব্যক্তিময় ছবিটি কেমন লক্ষ লক্ষ শেয়ারে ছড়িয়ে পড়ছে চতুর্দিকে। এরপর থেকে কাবসু যাকে বলে নিজেই সেলিব্রিটি। এমনকী ইনস্টাগ্রামে তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টও আছে, আর সেখানে তার অনুগামীর সংখ্যা বিস্তর।

আরও শুনুন: নকলে ছেয়ে গিয়েছে বাজার, কীভাবে চিনবেন কোনটি খাঁটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার?

শুধু তাই নয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় যে ডগিকয়েনের আবির্ভাব, সেখানেও অনুপ্রেরণা কাবসুর তুমুল জনপ্রিয়তা। সব মিলিয়ে সারমেয়কুলে তাকে কিংবদন্তি বললে ভুল হয় না। কাবসু পৃথিবীর আলো দেখেছিল ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর। সেই হিসেবে এখন তার বয়স ১৬ বছর। এত কম বয়সে এমন জনপ্রিয়তা যে আর ক-জনের আছে, তা অবশ্যই ভেবে দেখার মতো বিষয় বটে!