তাঁর উত্থান হার মানাবে যে কোনও ফিল্মের চিত্রনাট্যকে। ফ্যাক্টরির সাধারণ কর্মী, বাস কন্ডাক্টর থেকে যাত্রা শুরু করে হয়েছেন সুপারস্টার। ‘থালাইভা’। আসমুদ্র হিমাচল কম্পমান তাঁর স্টারডমের কাছে। তাঁর ছবির রিলিজ মানেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে অঘোষিত ছুটি। তিনি সুপারস্টার রজনীকান্ত।
রজনীকান্ত মানেই, ভক্তদের কাছে তিনি অঘোষিত ভগবান। তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, কিন্তু তাঁর স্টারডমে একফোঁটাও আঁচ পড়েনি। কখনও ফ্যাক্টরির শ্রমিক, কখনও বাসের কন্ডাক্টর — মধ্যবিত্ত এক সাধারণ বাড়ির ছেলে থেকে দক্ষিণী সুপারস্টার। শিবাজী রাও গাওকোয়াড় কীভাবে হয়ে উঠলেন রজনীকান্ত!
আরও শুনুন- পর্ন দেখলেই জরিমানা নয় হাজতবাস! ফোনে আপনার কাছেও কি এসেছে হুমকি?
পরিচালক বালাচন্দর-এর ফিল্ম ‘অপুর্ভা রাগাঙ্গাল’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ। না কামানো দাড়ি, উস্কোখুস্কো পোশাকে প্রথম ক্যামেরা ফেস করবেন শিবাজী। সেই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায়, অন্য অভিনেতারা ছিলেন কমল হাসান, শ্রীবিদ্যা, মেজর সুন্দররাজান, জয়াসুধা, নাগেশ। এঁরা প্রত্যেকেই সেই সময়ের দক্ষিণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী। কমল হাসানের সঙ্গে এখন থালাইভার বন্ধুত্ব নিয়ে চর্চা চলে। থালাইভা যখন ছবিতে আত্মপ্রকাশ করছেন, ততদিনে কমল সুপারস্টার। কমল মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে শুরু করেছিলেন অভিনয়।
আরও শুনুন- রাজ্যে হানা দিল Delta Variant, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে কি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে?
প্রথম কয়েকদিন সেটে গিয়ে শিবাজী হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন। তাঁর সিন আর আসে না। মনে মনে ভাবেন, ধুর আমার শুভদিন বৃহস্পতিবার। সেদিন থেকে শুটিং শুরু হলে হয়তো খানিক তাড়াতাড়ি ক্যামেরার সামনে যেতে পারতাম। চার পাঁচদিন হয়ে গেল, রোজ আসি। সারাদিন বসে থাকি। লাঞ্চ খাই। গুচ্ছের কফি গিলি আর বাড়ি চলে যাই। মনে মনে সন্ত রাঘবেন্দ্রের কাছে প্রার্থনা করে শিবাজি। আবার মনে করে, এই যে রোল পেয়েছে এও তো ঈশ্বরের কৃপা। হত্যে দিয়ে বসে না থেকে ঘুরে ফিরে সময় কাটিয়ে দিই আর কি!
শুটিং-এ সেদিন কমল হাসানের টেক চলছে। শিবাজি শুটিং ফ্লোর থেকে বেরিয়ে বাইরে বসে সিগারেট ফুঁকছিলেন। পরিচালক বালাচন্দর চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘এই শিবাজি তোমার শেখার ইচ্ছে টিচ্ছে নেই নাকি! এখানে কমল অভিনয় করছে আর তুমি বেয়াক্কেলের মতো বাইরে গিয়ে সিগারেট ফুঁকছ! এখানে এসে ওঁর অভিনয় দেখে কিছু শেখো। অভিজ্ঞ অভিনেতাদের থেকে কত কিছু শেখার আছে। তাঁদের কাজ না দেখলে তুমি শিখবে কি! ঘণ্টা!’ বালাচন্দরের আচমকা পাল্টে যাওয়া আবহাওয়ার মতো মেজাজের কথা অনেকেই জানতেন। রাগ কমিয়ে, তারপর সুর নরম করে শিবাজিকে বললেন, ‘কমলের চরিত্রে বসিয়ে নিজেকে ভাবো। একজন নায়কের যা যা লাগে, সৌন্দর্য, প্রতিভা, অভিজ্ঞতা, সব ওঁর আছে। ওঁকে মন দিয়ে দেখো, শিখতে পারবে অনেক কিছু।’ শিবাজির মনের মধ্যে তৈরি হল নিজের ব্যাপারে খানিক অবিশ্বাস আর সংশয়। এত প্রতিভার মধ্যে সে কি টিকে থাকতে পারবে?
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।