দ্বিতীয়বার কলকাতার মেয়র পদে শপথগ্রহণ ফিরহাদ হাকিমের। তিন দিনের সফরে গঙ্গাসাগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের ময়দানে অশোক ভট্টাচার্য। করোনায় আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রবীণদের বুস্টার ডোজ নিয়ে নয়া ঘোষণা কেন্দ্রের। দিল্লিতে হলুদ সতর্কতা কেজরি প্রশাসনের। চিকিৎসক বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লির রাজপথ। এসসি ইস্টবেঙ্গল থেকে বিদায় কোচ দিয়াজের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ১ জানুয়ারি থেকে শুরু ১৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের রেজিস্ট্রেশন
বিস্তারিত খবর:
1. কলকাতার মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করলেন ফিরহাদ হাকিম। শপথ নিলেন চেয়ারপার্সন মালা রায়-ও। মঙ্গলবার দু’ জনকেই কলকাতা পুরসভার লনে শপথবাক্য পাঠ করালেন প্রোটেম স্পিকার রামপেয়ারে রাম। শপথগ্রহণ করলেন মেয়র পারিষদেরা-ও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং বিশিষ্টজনেরা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই দ্বিতীয়বার মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হচ্ছেন ফিরহাদ। মেয়র পদে দ্বিতীয় কোনও মনোনয়ন পত্র জমা না পড়ায় সোমবারই শহরের মহানাগরিক নির্বাচিত হন ফিরহাদ হাকিম।
নিজেকে কলকাতাক প্রধান সেবক আখ্যা দিয়ে ফিরহাদ জানান, “অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এই বোর্ড মনোনীত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই টিম কর্পোরেশনের একটাই শপথ, মানুষের সেবা করতে হবে। কলকাতাকে বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করতে হবে।” একইসঙ্গে সফল কাউন্সিলর হওয়ার মূল মন্ত্রও আরও একবার মনে করিয়ে দেন নবনির্বাচিত মেয়র। সকলের কাছে তাঁর অনুরোধ, মানুষ ডাকলে সবসময় হাজির হতে হবে। নিজ-নিজ ওয়ার্ডের দায়িত্ব নিতে হবে সকলকে।”
এ বার থেকে আরও ‘ডিজিটাল’ নির্ভর হচ্ছে কলকাতা পুরসভার কাজকর্ম। অধিকাংশ কাজ-ই হয়ে যাবে অ্যাপে। শহরের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানান যাবে হোয়াটসঅ্যাপেই। মঙ্গলবার শপথগ্রহণের পরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই এ কথা জানান নতুন মেয়র। কলকাতাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের শহর বানাতে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা, এদিন তার নীল নকশাও তুলে ধরেন ফিরহাদ।
2. তিনদিনের গঙ্গাসাগর সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেন। আর তারপরই তাঁকে পাশে নিয়ে কার্যত ভবিষ্যৎবাণী করলেন আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস মহান্ত। বললেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে মমতাকে কেউ রুখতে পারবে না। তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমরা।”
মঙ্গলবার বিকেলে কপিলমুনির আশ্রম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। এই মেলার পবিত্রতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নালিশের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। মমতা বক্তব্য, ”এই মেলা কুম্ভ মেলার চেয়ে কোনও অংশে কম পবিত্র নয়। কথায় বলে – সব তীর্থ বারবার/ গঙ্গাসাগর একবার। আমরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি, এই মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। একে দ্রুতই জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করি।” মেলায় যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ দরকার। তা এখনও তৈরি না হওয়ায় মানুষজনের সমস্যা নিয়েও এদিন কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি।
কপিলমুনির আশ্রম থেকে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান ভারত সেবাশ্রম সংঘে। সেখানে পুজো দিয়ে, সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলেন। এখান থেকেই গঙ্গাসাগর এলাকার উপর প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে আমফান, বুলবুল, যশের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই এলাকার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষত সারিয়ে ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।