ফের সন্ত্রাসীদের তুলনা টেনে বিরোধী জোটকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর। নিষিদ্ধ গোষ্ঠী SIMI-কে টেনে তোপ মোদির। বেনজির বিক্ষোভ বিধানসভা অধিবেশনে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই কালো পতাকা দেখিয়ে ওয়াকআউট বিজেপির। ফের জামিনের আরজি পার্থর। প্রভাবশালী ইস্যুতে কড়া বিরোধিতা ইডির। অগ্নিগর্ভ মণিপুরে যাচ্ছেন ইন্ডিয়া-র ২৬ দলের প্রতিনিধি। এনসিপি ও শিবসেনার উদ্যোগে তৃতীয় বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট। ৪ বছর পর ঘরের মাঠে নেমেই জয় লাল-হলুদের। রতন টাটাকে ভারত গৌরব সম্মান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মুজাহিদিনের সঙ্গে INDIA জোটের তুলনা মোদির, কটাক্ষ মমতা-রাহুলের
বিস্তারিত খবর:
1. ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা টেনে বিরোধী জোটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজস্থানের সিকারে নির্বাচনী জনসভা থেকে বিরোধী জোট INDIA-র নাম নিয়ে জোর খোঁচা মোদির। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের পর নিষিদ্ধ সংগঠন SIMI, PFI-এর সঙ্গেও ইন্ডিয়া জোটের তুলনা টানতে ছাড়লেন না তিনি।
সামনেই রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যটিতে জোর প্রচারে নেমেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সিকারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মোদি আগাগোড়া নিশানা করলেন বিরোধী INDIA জোটকে। তাঁর কথায়, “শুধু নাম বদলের খেলা চলছে। যা ছিল UPA, সেটাই এখন INDIA। কংগ্রেস আমলে স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমি ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এখন তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা PFI। কিন্তু নাম বদলে কি আর কাজ বদল হয়? ওদের লক্ষ্য, দেশকে লুট করা।” দেশের স্বার্থ নিয়ে বিরোধীদের আদৌ কোনও মাথাব্যথা নেই, এ কথাই বোঝাতে তৎপর মোদি। বিরোধীদের দুর্নীতিবাজ, তোষামোদকারী বলে তোপ দেগে তাদের উদ্দেশে এদিন ভারত ছাড়ার স্লোগানও তোলেন তিনি। মহাত্মা গান্ধীর আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে গান্ধীজি আওয়াজ তুলেছিলেন, ইংরেজ ভারত ছাড়ো। এখন বিরোধীদের লক্ষ্য করে স্লোগান তোলার সময় এসেছে।” এর আগেও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে বিরোধী জোটকে তুলনা করেছিলেন মোদি। বারবার ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে INDIA-কে এক সারিতে রেখেই সাধারণের চোখে বিরোধী জোটকে নস্যাৎ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
2. পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই ইস্যুতে আলোচনা হতেই বেনজির বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই কালো পতাকা দেখিয়ে ওয়াকআউট বিজেপির।
এদিন বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কৌশল করেই এই প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিচারাধীন বিষয় বলে এই মুলতুবি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ‘অস্বস্তিকর’ মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা নাকচ করতেন তাঁরাও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই আলোচনা শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা দাবি করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ভোট লুট হয়েছে। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে ৭ জায়গায় অশান্তি হয়েছে। কিন্তু নাম ছড়ানো হচ্ছে অনেক জায়গার। তাঁর প্রশ্ন, ভোট লুট হয়ে থাকলে বিরোধীরা কীভাবে জিতলেন? এরপরই গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে ‘কারচুপি’র প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। নাম না করে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতাকেই। আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই ওয়াকআউট করেন তাঁরা। এরপর বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না। অবাধে ভোট লুট করে জিতেছে। এই ভোট লুটের বদলা নেবে মানুষ।” ভোটে হারের হতাশা থেকেই এসব বলছেন বিরোধী দলনেতা, এই মর্মে তাঁকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।