বাংলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদ করতেই নীতি আয়োগে যোগ। দিল্লি যাওয়ার আগে হুংকার মুখ্যমন্ত্রীর। সফরে সঙ্গী হলেন অভিষেকও। রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য করতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী। জানাল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাজভবনে। রাজ্যের মামলায় রাজ্যপালকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের। নোটিস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও। বিজয় দিবসের ২৫ বছরে কার্গিলে প্রধানমন্ত্রী। ‘সন্ত্রাসবাদ গুঁড়িয়ে দেবে সেনা’, হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ইন্ডিয়া জোটের সাত মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেও বৈঠকে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেটা বাংলার বঞ্চনা এবং রাজ্যভাগের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার লক্ষ্যেই। দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই বাংলাভাগ রোখার হুংকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে দানা বাঁধছে বাংলা ভাগ প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পর আবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার দুই জেলা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ-সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ডাক দিয়েছেন। এদিন মমতা বলেন, “ওরা বাংলাকে বিভিন্ন দিক থেকে চাপে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। বাজেটে বঞ্চনা করেছে। রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে। এমনকী বাংলাকে ভাঙার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাংলা ভাগ মানেই ভারত ভাগ। এই চক্রান্ত মানা হবে না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ জানানোর মঞ্চ নীতি আয়োগ।” তবে নীতি আয়োগ নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের অবস্থান প্রসঙ্গে মমতা বলতে ছাড়েননি, বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে হয়ত অন্য কিছু ভাবা যেত। জানা যাচ্ছে, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।
2. রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য করতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার তৃণমূল নেতা। তবে তা কোনওভাবেই কুৎসা কিংবা অপপ্রচার যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মানহানি মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। অন্যদিকে রাজ্যপাল বোসের আদৌ মানহানি হয়েছে কি না, তা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চকেই বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পরে মামলায় যুক্ত করতে হয় আরও তিনজনের নাম। তাঁরা হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁকে অসম্মানের অভিযোগে মামলা করলেও আদালতে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলায় পক্ষভুক্ত সকলেই। ওই মামলার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের নামে কোনও আপত্তিজনক মন্তব্য করা যাবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। এবার সেই মামলাতেই রায় জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।