বাংলার উপনির্বাচনে ছয়ে ছয় তৃণমূল। জমানত জব্দ বামেদের। মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, প্রত্যাবর্তন ফড়ণবিসের। ঝাড়খণ্ডে গড়রক্ষা ইন্ডিয়া জোটের। ফের মসনদে ফিরতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। উপনির্বাচনে দেশজুড়ে ফুটল পদ্ম। কংগ্রেসের বড় স্বস্তি প্রিয়াঙ্কা, ওয়ানড়ে জয়ের পথে কংগ্রেস নেত্রী। পারথের দ্বিতীয় ইনিংসে বদলে গেল ভারতের ব্যাটিং। রাহুল-যশস্বীর জুটিতে বড় লিডের পথে ইন্ডিয়া।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলার উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়। বিরোধীদের দুরমুশ করে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রই ঘাসফুল শিবিরের দখলে। শনিবার ফলপ্রকাশের পর সোশাল মিডিয়া পোস্টে জয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছেন, ‘আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার।’ প্রায় একই সুরে বিজেপিকে বিঁধেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ফলাফল বলছে, মাদারিহাট, সিতাই, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া- ছয় কেন্দ্রেই জিতেছে তৃণমূল। উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির হাতে থাকা মাদারিহাটও এবার তৃণমূলের দখলে। এদিকে, হাড়োয়া কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আইএসএফ। তবে বাংলার উপনির্বাচনেও জমানত জব্দ হল বামেদের। আর জি কর আন্দোলন সত্ত্বেও মরা ভোটবাক্সে জোয়ার আনতে ডাহা ফেল বাম শিবির। একই হাল কংগ্রেস প্রার্থীদের।
অন্যদিকে, তিক্ততা ছেড়ে এবার মিষ্টি সম্পর্কের পথে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে ২ বছর পূর্তিতে রাজভবন থেকে মিষ্টি, ফল পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। পালটা উপহার হিসেবে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রাজ্যপালকেও পাঠানো হল মিষ্টি। রাজ্যের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে যেটুকু তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা মিটতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. মহারাষ্ট্রে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফিরছে বিজেপি, ধরাশায়ী বিরোধী শিবির। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা,”এই জয় উন্নয়নের, সুশাসনের। একসঙ্গে থাকলে আরও শীর্ষে পৌঁছাব আমরা।” একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উন্নতির জন্য কাজের আশ্বাসও দিয়েছেন মোদি।
ফলাফল বলছে, মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৩১টি ‘মহাজুটি’-র দখলে। অনায়াসে পার হয়েছে জাদুসংখ্যা ১৪৫। অন্যদিকে বিরোধী ‘মহা বিকাশ আঘাড়ি’ জোট মাত্র ৪৭ আসনে জয়লাভ করেছে। সব ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন দেবন্দ্র ফড়ণবিস। বিধানসভা ভোটের আগে হিন্দু ঐক্য পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে মাঠে নামে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে সক্রিয় হন যোগী আদিত্যনাথ। আসরে নামে আরএসএস। দলিতদের দলে টানতে মহারাষ্ট্র জুড়ে অন্তত ৬০ হাজার সভা-সমিতি-জনসংযোগের কর্মসূচি নেয় সংঘ। জোর দেওয়া হয় হিন্দু ঐক্যে। মনে করা হচ্ছে, নীরবে করা সংঘের এই কাজের ফলই পেয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি সে রাজ্যের দলিত-মুসলিম ভোটের বিভাজন এবং বিরোধী শিবিরের আসন সমঝোতা মসৃণ না হওয়াও জয়ের বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, মহাজুটি সামগ্রিক ভাবেই টেক্কা দিয়েছে উদ্ধব-শরদ-হাত জুটিকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত শিব সেনার ব্যাটনটা রয়ে গেল একনাথ শিণ্ডের হাতেই। লোকসভা নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন শিব সেনার লোগো ও নামের উত্তরাধিকার তাঁকেই দিয়েছিল। এবার জনাদেশও সেদিকেই নির্দেশ করছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।