দীপাবলি উপলক্ষে আলোর মালায় সেজে উঠেছে শপিং মলের চারপাশ। সেই শুভেচ্ছা বার্তায় ব্যবহার করা হয়েছে একটি উর্দু শব্দ। তাই নিয়েই বেজায় আপত্তি তুলেছে হিন্দুত্ববাদীরা। বাধ্য হয়ে সেই শব্দ বদলেছে মল কর্তৃপক্ষ। কোন শব্দ নিয়ে আপত্তি জানেন? আসুন শুনে নিই।
দুর্গাপুজোর রেশ কাটিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে দীপাবলির প্রস্তুতি। পার্ক, রেস্তোরাঁ, শপিং মল সর্বত্রই চোখে পড়ছে রাশি রাশি আলো। শিল্পনগরী মুম্বইও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে সেখানকার এক শপিং মলের আলোকসজ্জা নিয়ে বেজায় আপত্তি তুলেছে হিন্দুত্ববাদীরা।
আরও শুনুন: বিমানবন্দরে বসেই নমাজ পাঠ! ‘মসজিদ পেয়েছেন নাকি?’ তোপ সহযাত্রীদের
ঘটনাটি মুম্বইয়ের কুরলা অঞ্চলের একটি শপিং মলের। দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো, এই শপিংমলও দীপাবলি উপলক্ষে আলোর মালার সেজেছে। সামনেই রাখা হয়েছে আলো দিয়ে তৈরি ইংরেজি অক্ষর। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘#জশন-এ দিওয়ালি’। যার মানে করলে দাঁড়ায়, দীপাবলির উৎসব আরও প্রানবন্ত হয়ে উঠুক। এমনিতে এই ধরনের শুভেচ্ছা বার্তা খুবই সাধারণ। দীপাবলির আবহে, আরও অনেক জায়গাতেই এমন শুভেচ্ছা বার্তা চোখে পড়ে। তবে এই শপিংমল স্রেফ শুভেচ্ছা বার্তা নয়, ওই শব্দ বন্ধটি হ্যাসট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। উৎসবের আবহে এই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা পোস্ট করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু সেখানে একটি শব্দ নিয়ে বেজায় আপত্তি হিন্দু নেতাদের। তাঁদের দাবি, ‘জশন’ শব্দটি উর্দু। তাই হিন্দু উৎসব দীপাবলিতে কেন এই শব্দ থাকবে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, দীপাবলির উদযাপনে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার হিন্দুদের ঐতিহ্যকে নষ্ট করছে বলেও দাবি তাঁদের। তাই অবিলম্বে ওই শব্দ শুভেচ্ছা বার্তা থেকে সরিয়ে ফেলার আর্জি জানায় হিন্দুনেতারা। এর জন্য রীতিমতো প্রতিবাদও জানায় ওই সংগঠনের নেতারা। শেষমেশ পিছু হটতে বাধ্য হয় শপিং মল কর্তৃপক্ষও। হিন্দুনেতাদের দাবি মেনেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই শব্দ।
আরও শুনুন: মাতৃগর্ভ কি ‘চাষের জমি’! জনসংখ্যা নিয়ে মুসলিম নেতাকে তুলোধোনা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
তবে এই প্রথম নয়। আগেও এই ধরনের দাবিতে সরব হয়েছেন হিন্দুত্ববাদিরা। ভারতীয় উৎসবে হিন্দু সংস্কৃতির অবমাননা হচ্ছে, এমন দাবিতে আগেও সরব হয়েছেন তাঁরা। একইভাবে জনপ্রিয় পোশাক বিপণীর, ‘জশন-ই-রিওয়াজ’ নামে এক বিজ্ঞাপন ঘিরেও উঠেছিল জোর বিতর্ক। সংস্থাটি বয়কটেরও ডাক তুলেছিলেন অনেকেই। সেইমতোই এই শপিংমলে ‘জশন’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানায় হিন্দু নেতারা। বিক্ষোভের মুখে তা বদলাতেও বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
@MarketcityKurla (Phoenxi mall)
सर्व हिंदू बांधवांना #जशन_ए_दिवाळीच्या हार्दिक शुभेच्छा देत आहे सर्व हिंदू बांधवांनी त्याचा स्वीकार करावा. @RajThackeray @narendramodi @mieknathshinde @Dev_Fadnavis @AjitPawarSpeaks @mnsadhikrut @mnsreport9 @mumbaimns @anilshidore @mnsmoresachin… pic.twitter.com/33JJsMBWcu— Mahendra Bhanushali (@mahendrabhanum1) November 6, 2023