এগরা কাণ্ডে NIA তদন্তে না আদালতের। বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ভানু বাগ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ, বিস্ফোরক দাবি কুণালের। মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দুষলেন বিজেপি সরকারকেই। এবার বাংলাতেও চার বছরের স্নাতক কোর্স। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ। চাকরি ফেরতের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা সরকার। কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেককে জেরা করতে পারবে CBI-ED। বাংলায় ফের দেখা যাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। চাকা গড়াল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারতের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. এগরা কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার বিস্ফোরণের দায় সরাসরি অধিকারী পরিবারের দিকে ঠেলে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপিকেও। তাঁর কথায়,”এগরার ঘটনার জন্য আগাগোড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিজেপি সরকার দায়ী। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে এটা আমরা বলছিলাম বহুদিন ধরে। এবার কার্যক্ষেত্রে তার কতটা প্রভাব পড়ছে, এই ঘটনা তার প্রমাণ। পয়সার জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাজি কারখানায় কাজ করছে মানুষ।”এরপরই কুণাল ঘোষ বলেন, “ঘটনার পিছনে যার নাম শোনা যাচ্ছে, ভানু বাগ, তিনি আগে সিপিএম ছিলেন। পরে শুভেন্দু অধিকারীর ছায়ায় তৃণমূলে এসেছেন। সেই প্রসঙ্গ ধরেই তিনি সরাসরি দাবি করলেন,”ঘটনার দায় অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের।”
অন্যদিকে, এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এখনই NIA তদন্ত নয়। শুভেন্দু অধিকারীর আরজি খারিজ করে সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। ১২ জুন বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। একইসঙ্গে এই ঘটনায় বিস্ফোরণের ধারা কার্যকর হবে কি না তা সেই সিদ্ধান্তও নেবে সিআইডি-ই। এমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে।
2. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে ইডি ও সিবিআই। কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে যেতে পারেন সুপ্রিম কোর্টেও। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমানে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কলকাতা হাই কোর্টের রায় শোনার পরই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি স্থগিত রেখে তলবে সাড়া দেবেন বলেই জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন দুর্গাপুর থেকে দলীয় কর্মসূচির মাঝে অভিষেক বলেন, “বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা আছে৷ আমার কাছে উচ্চ আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা। আমাকে যখন ডেকেছে আমি গিয়েছি। আমাকে দিল্লিতে আগেও ডাকা হয়েছে। আবার ডাকলে আমি যাব। তদন্তের স্বার্থে ডাকলে একদিন যাত্রা থামিয়ে যাব। আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।” এদিকে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের থেকে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।