প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বাজারদর। এদিকে মানুষের রোজগার তো বাঁধা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সংসার সামলাতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগার। তা এসব অসুবিধার কথা অফিস আর কবেই বা বুঝেছে! তবে এ ব্যাপারে ব্যাতিক্রম ব্রিটেনের এই সংস্থার মালিক। নিজের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। কী করেছেন? আসুন শুনে নিই।
করোনার পর থেকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি বিশ্ব অর্থনীতি। দিনকে দিন আরও কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। স্বাভাবিক ভাবেই এই বাজারে সংসার টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের। কোভিডের কারণে যেখানে বহু সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ে মন দিয়েছেন, সেখানে ব্রিটেনের এই সংস্থাটি কিন্তু হেঁটেছে সম্পূর্ণ উল্টোপথে।
আরও শুনুন: মাইনে দিতে পারছেন না কর্মীদের, টাকার খোঁজে পড়শিকেই অপহরণ রেস্তরাঁ মালিকের
কর্মীদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন খোদ সংস্থার মালিক। কর্মীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি মোটা টাকার বোনাস। যাতে এই অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে অসুবিধায় পড়তে না হয় কর্মীদের। তাঁদের মাসিক খরচের বোঝা যাতে একটু লাঘব হয়।
বহু সময়েই সংস্থার লাভের ভাগটুকুও কর্মীদের দিতে চায় না সংস্থাগুলি। অথচ সারাবছর ধরে তো কর্মীরা মুখিয়ে থাকেন ওই অতিরিক্তটুকুর জন্য়ই। সেখানে ওই সংস্থার কর্ণধার জেমস হিপকিনস যে একেবারেই ব্যাতিক্রম তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ কর্মীদের এই টাকাটা দিয়েছেন একেবারে নিজের পকেট থেকেই।
আরও শুনুন: খুদের মাছ ধরার ভিডিওতেই লুকিয়ে জীবনের সাফল্যের মন্ত্র, চিনিয়ে দিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা
বাজারে আগুন। গত কয়েক সপ্তাহে ইংল্যান্ডে ৬.২ শতাংশ বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। মাত্রা ছাড়িয়ে বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দামও। সংসার চালাতে গলদঘর্ম অবস্থা আম আদমির। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন তাঁর সংস্থার বহু কর্মীই। এ কথা জানতে পেরেই এমন ছকভাঙা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেমস। নিজের সংস্থার অন্তত ৬০ জন কর্মীর হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রায় ৭৪ হাজার টাকা করে। যাতে সেই টাকা দিয়ে মাসের খরচ টানতে পারেন কর্মীরা। স্বভাবতই আচমকা এত টাকা বোনাস পেয়ে উল্লাসিত কর্মীরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে সংস্থা যে এতগুলো টাকা ব্যয় করতে পারে, তা তাঁদের ভাবনার বাইরে।
জেমস অবশ্য সংস্থার সমস্ত সাফল্যের কৃতিত্বই দিয়েছেন কর্মীদের। তিনি মনে করেন, সংস্থার উন্নতির পিছনেই রয়েছেন তাঁর কর্মীরা। তাই তাঁদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোটাই তাঁর কর্তব্য। পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে ভাল কাজ পাওয়ার জন্য তাঁদের মনোবল বাড়ানোটাও সংস্থারই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর সংস্থার কর্মীরা মানে তো তাঁর বৃহত্তর পরিবার, এ কথাটা অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করেন জেমস হিপকিনস।