আর জি করে হামলায় রাম-বামকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করলেন ভুয়ো ভিডিও নিয়ে। মুখ খুললেন রোগীদের হয়রানি প্রসঙ্গেও। মধ্যরাতের হামলায় আর জি করে তছনছ ১৮টি বিভাগ। আর জি করে হামলার জেরে বাংলা বন্ধের ডাক বিরোধীদের। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব শুভেন্দু। বিক্ষুব্ধ আর জি করে হাজির রাজ্যপাল। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে দেশ। লালকেল্লায় ফের স্বপ্ন দেখালেন প্রধানমন্ত্রী। নারী নির্যাতন নিয়েও রাজ্যগুলিকে কড়া বার্তা মোদির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আর জি করের জেরে রাজ্যে মেয়েদের রাত দখল, বিরোধীদের তোপ মমতার
আরও শুনুন: 13 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- আর জি কর কাণ্ডে CBI তদন্ত, রাজ্যজুড়ে আউটডোর বন্ধের ডাক চিকিৎসকদের
বিস্তারিত খবর:
1. মধ্যরাতে মেয়েদের রাস্তা দখল চলাকালীনই আর জি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হামলা। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনে চায়ের আমন্ত্রণে যাওয়ার পথে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের উপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু আমাদের রাগ যারা এই আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করছে। রাম এবং বামেদের কাজ এটা।” তাঁর আরও ইঙ্গিত, “এখন তো AI দিয়ে নানারকম মুখ বসিয়ে ভিডিও বানানো হয়। সোশাল মিডিয়ায় প্রচুর ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে।”
বহিরাগতদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। হামলার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের সন্ধান পেতে সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই হামলার জেরে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে আর জি করে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত জেলার হাসপাতালগুলিকে রোগী রেফার না করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের মাঝেই মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব। যা আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলেছে নতুন করে। হামলার জেরে আর জি কর হাসপাতালের অন্তত ১৮টি বিভাগ কার্যত তছনছ। চিকিৎসা পরিষেবা আপাতত শিকেয় উঠেছে। শুক্রবার থেকে আরও জোরদার আন্দোলনে নামছেন চিকিৎসকেরা। শামিল নার্সরাও। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পাল ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নার্সরা। তাঁদের সাফ কথা, হামলার দায় নিতে হবে অধ্যক্ষকেই। নিরাপত্তা নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়ে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন তাঁরা। এদিকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন প্রতিবাদে বসতে চলেছেন চিকিৎসকরা। সব মিলিয়ে আরও উত্তপ্ত গোটা পরিস্থিতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।