নিজের বিছানার আধখানা তো ফাঁকাই। আর সেইখানে চাইলেই শুয়ে পড়তে পারেন যে কেউ। হ্যাঁ, অচেনা লোকদের বিছানা ভাড়া দেওয়াই পেশা এই তরুণীর। কোনও পুরুষকে তাঁর সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমানোর সুযোগ দিয়েই হাজার হাজার টাকা উপার্জন করেন তিনি। কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বাড়ি ভাড়া অনেকেই দেন। প্রয়োজনে নিজের ব্যবহার করা জিনিসও ভাড়া দেন অনেকেই। কিন্তু নিজের বিছানা ভাড়া দিতে শুনেছেন কাউকে? এই তরুণী কিন্তু ঠিক তেমনটাই করেন। রোজগারের জন্য নিজের বিছানা ভাড়া দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমানোর সুযোগ পেতে পারেন যে কেউ। স্রেফ মানতে হবে কিছু শর্ত। তাহলেই নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে ওই তরুণীর পাশে শোয়ার সুযোগ মিলবে তাঁদের। আর এই পথেই প্রচুর টাকা রোজগারের উপায় খুঁজে নিয়েছেন ওই তরুণী।
আরও শুনুন: চর্চায় সিনেমার হিরো, বাস্তবের মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা এখন কোথায়?
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। রোজগারের জন্যই মানুষ কী না করে! পয়সা রোজগারের জন্য এমনই অভিনব পথ বেছেছেন মনিকা জারামিয়া। মার্কিন মুলুকের এই তরুণী মডেলের দাবি এভাবেই তিনি হাজার হাজার টাকা রোজগার করেন। তবে একে কিন্তু দেহব্যবসার সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। এই বিশেষ উপায়ে রোজগারের কথা তাঁর মাথায় এসেছে অন্য এক সূত্রে। সে দেশে ‘হট বেডিং’ নামে এক বিশেষ প্রথার চল রয়েছে। একই বিছানা অনেকে ব্যবহার করেন। উদ্দেশ্য সবসময় বিছানা গরম রাখা। সেকথা মাথায় রেখেই নিজের বিছানাটিও ভাড়া দেওয়ার কথা ভাবেন মনিকা। আসলে, বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন তাঁকে একাই ঘুমাতে হত। এতে বিছানার একপাশ এতই ঠাণ্ডা হয়ে যেত, যে রীতিমতো অসুবিধা হত মনিকার। সেইসঙ্গে একাকিত্বের সমস্যা তো ছিলই। সব দিক ভেবেই নিজের বিছানায় অচেনা পুরুষদের ঘুমানোর অনুমতি দেন মনিকা। তবে বিনামূল্যে নয়। নির্দিষ্ট রয়েছে সেই ভাড়াও। তবে শর্ত একটাই। এখানে যৌনতার কোনও জায়গা নেই। অর্থাৎ অচেনা ব্যক্তি তাঁর বিছানায় ঘুমালেও কোনওভাবেই তাঁর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। আগে থেকেই এই শর্তের কথা জানিয়ে দেন মনিকা। কিন্তু তাতে কী! তরুণীর দাবি, এই শর্ত মেনেই অনেকে তাঁর বিছানায় ঘুমাতে আসেন।
আরও শুনুন: চাঁদ ছোঁয়ার স্পর্ধায় শরিক, একটা ‘কালো’ ঘটনা কি মুছতে পারে যাদবপুরের ‘আলো’?
তবে এটাই তাঁর একমাত্র রোজগারের পথ নয়। মনিকা পেশাগত ভাবে মডেল। এছাড়া আরও কিছু কাজ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকেন তিনি। নিজেকে পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী বলতেই পছন্দ করেন মনিকা। যে কোনও উপায়ে রোজগার করাই তাঁর আসল উদ্দেশ্য। এমনকি ঘুমানোর সময়ও রোজগার বন্ধ রাখতে চান না তিনি। তাই সেই সময়টুকুও ভাড়া দেন বিছানার একপাশ। মনিকার কথায়, এভাবে মাসের শেষেও তাঁর কাছে অতিরিক্ত টাকা থাকে। যা ব্যবহার করে নিজের অন্যান্য প্রয়োজন মেটান মনিকা। তাঁর এই রোজগারের পথ অবাক করেছে অনেককেই। তবে বুদ্ধি করে তিনি যে রোজগারের বিকল্প রাস্তা খুঁজে বার করেছেন, তার জন্য এই মডেলকে প্রশংসাও করেছেন নেটিজেনরা।