‘তু মিলে দিল খিলে অউর জিনে কো ক্যায়া চাহিয়ে’- কুমার শানুর গাওয়া সেই বিখ্যাত গান এখনও সমান ভাবে জনপ্রিয়। আবার, ‘আরআরআর’ সিনেমার ‘নাটু নাটু’। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই গানটা শোনেননি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু জানেন কি, দুটো গানেরই সুরকার একজন! নিশ্চয়ই ভাবছেন, দুটো গানের সুরকার হিসেবে তো আলাদা নাম রয়েছে, তাহলে? সুরকার কী করে একই ব্যক্তি হলেন? আসুন শুনে নিই।
মৌলিক গান হিসেবে অস্কার পেয়েছে ‘আরআরআর’ সিনেমার নাটু নাটু। এরপরই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে, গানটির সুরকার এমএম কিরবাণী ও গীতিকার চন্দ্র বোস। কিন্তু জানেন কি, কিরবাণী আসলে তিনটি নাম ব্যবহার করেন। হিন্দি, তামিল ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির জন্য তিনটি আলাদা নাম রয়েছে তাঁর।
আরও শুনুন: ‘নাটু নাটু’ কি শুধু নাচের গান! অস্কার জয়ের পর আসল অর্থ খুঁজছে দেশবাসী
৬১ বছরের এই বর্ষীয়ান সুরকার সত্যিই অনন্য। মূলত তেলুগু ভাষায় কাজ করেন তিনি। তাই এই ভাষায় রচিত গানের জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। সুর দিয়েছেন নামকরা সব দক্ষিণী সিনেমায়। যার মধ্যে অন্যতম ‘বাহুবলী’। বিশ্বজুড়ে হাজার কোটির ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা। তবে এবার সেসব প্রসঙ্গ নয়। কিরাবাণী চর্চায় উঠে এসেছেন তাঁর সুরারোপিত গান ‘নাটু নাটু’-র জন্য। এই গানের হাত ধরেই দীর্ঘ ১৪ বছর পর অস্কার এসেছে ভারতে। তাই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে কিরাবাণীর জয়জয়কার। এরই মাঝে উঠে এসেছে অদ্ভুত এক তথ্য। কিরাবাণীর নাকি তিনটি আলাদা নাম আছে। যা হিন্দি, তেলুগু ও তামিল সিনেমার ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেন। প্রথম নাম অর্থাৎ এম এম কিরাবাণী অবশ্যই তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির জন্য। এই ভাষার কোনও গানের ক্ষেত্রে এই নামটিই ব্যবহার করেন তিনি। তবে তামিল ভাষায় কোনও কাজ করলে তিনি ব্যবহার করেন ‘মরকথমণি’ নামটি। অন্যদিকে বলিউডের কোনও কাজের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ হিন্দি ভাষায় কাজ করলে তাঁর নাম হয় ‘এমএম ক্রিম’। তবে যে ভাষাতেই কাজ করুন না কেন, বরাবরই সকলের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে থেকেছেন তিনি। ‘আরআরআর’ সিনেমার ক্ষেত্রেও যার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও শুনুন: কমেডি শো-তে ডাক প্রধানমন্ত্রীকে, কপিলের প্রস্তাবে কী জবাব দিয়েছিলেন মোদি?
প্রথমে গোল্ডেন গ্লোব। তারপর লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ক্রিটিকস পুরস্কার। এবার ৯৫তম অস্কারের মঞ্চে সম্মানিত হল এম এম কিরাবাণীর সুরারোপিত গান ‘নাটু নাটু’। অস্কার জেতার পর থেকে শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বেই যে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে এই গান। এই প্রসঙ্গে নতুন করে খ্যাতি কুড়িয়েছেন গানটির সুরকার এম এম কিরাবাণীও। আর সেই সূত্রেই উঠে এসেছে তাঁর নাম সম্পর্কিত এই অদ্ভুত তথ্য।