মার গর্ভ থেকে মেয়ের জন্মের পর জানা গেল, তার গর্ভেও রয়েছে ভ্রূণ। কী করে ঘটল এমনটা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রাশিয়ার বিখ্যাত মাট্রিওশ্কা বা মা পুতুলের কথা তো অনেকেই জানেন। এক পুতুলের পেটের মধ্যে পুতুল, আবার তার মধ্যে আরেকটা পুতুল, এমনটাই গড়ন তাদের। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে যদিও ঠিক এমনটাই ঘটে? তাও কি সম্ভব? আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি তেমনই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন ইজরায়েলের এক মহিলা। সদ্য মা হওয়ার পরেই তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর সদ্যোজাত শিশুর পেটের মধ্যেও রয়েছে ভ্রূণ।
বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: রূপের নেশায় ঘায়েল মাফিয়া ডনও! প্রেমের ‘ফাঁদ’ পেতেই অপরাধীদের ধরেন এই মহিলা পুলিশকর্মী
সম্প্রতি মা হয়েছেন ইজরায়েলের বাসিন্দা ওই মহিলা। তাঁর আলট্রাসাউন্ড করাতে গিয়েই প্রথম গোলযোগের আভাস পেয়েছিলেন সে দেশের আসুটা মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকেরা। তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন যে গর্ভস্থ শিশুর পেটটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফোলা। কিন্তু কোনও অসুবিধা ছাড়াই সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। শিশুটির জন্মের পরে নবজাতকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ছিল এক্স-রে এবং আলট্রাসাউন্ডও। আর সেই সূত্রেই আসল সমস্যা প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, শিশুটির পেটে আংশিক পরিণত ভ্রূণ রয়েছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে সেটি বার করে আনা হয়।
আরও শুনুন: ঘরে ২০ জন স্ত্রী, বিয়ে নিজের কিশোরী কন্যাকেই, বিকৃত যৌনতার দায়ে গ্রেপ্তার স্বঘোষিত ‘গুরু’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই ঘটনা দুর্লভ হলেও একেবারে বিরল নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায়, একে বলা হয়, ‘ফিটাস ইন ফিটু’। সোজা কথায় একটি ভ্রূণের মধ্যে আরেকটি ভ্রূণ ঢুকে যাওয়া। ৫ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে এই ঘটনার হদিশ মেলে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মাত্র ৯০টি এই ধরনের কেস পেয়েছেন ডাক্তারেরা। এক্ষেত্রে মায়ের শরীরে যমজ সন্তান থাকলে গর্ভাবস্থাতেই একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের শরীরের মধ্যে ঢুকে যায়। ফলে ভূমিষ্ঠ হয় দ্বিতীয় ভ্রূণটিই। কিন্তু প্রথমজন পৃথিবীর আলো না দেখলেও তাকে মৃত বলা চলে না। জীবিত ব্যক্তিটির শরীরের মধ্যে থাকা ওই ভ্রূণ রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি সংগ্রহ করে কার্যত বেঁচে থাকে। এই মহিলার ক্ষেত্রেও এমন পরজীবী ভ্রূণের দেখা মিলেছিল বলেই নিশ্চিত করে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।