কথায় বলে, টাইম ইজ মানি। সময় বিক্রি করেই তাই অর্থ চাইছেন এই তরুণী। নিজের জীবনের শেষ কিছুটা সময়। আসলে কী করতে চাইছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
সময়ের যে বড্ড দাম, রোজকার চলতা ফিরতা জীবনে সে কথা মনে হয় না আমাদের। জীবন বয়ে চলে জীবনের মতোই। আমরা খানিকটা সময়ে কাজ করি, খানিক সময় যায় বিনোদনে, অবকাশে, কত সময় আবার নিছক ফেলেছড়েই হারিয়ে যায়। কিন্তু যে মানুষের জন্য আর বেশি সময় বরাদ্দ রাখেনি জীবন? আর সে কথাটিই যে মানুষ জেনে গিয়েছে? তার সময় ব্যয় করার ধরনটাও তো বদলেই যাবে, তাই না?
আরও শুনুন:
‘দেখেননি’ বলাই বৃথা! মাস্টারমশাইরা কিন্তু সবই দেখছেন…
ঠিক তেমনটাই ঘটেছে এই তরুণীর জীবনে। বয়স মাত্র ৩২। কিন্তু এই বয়সেই তিনি জেনে গিয়েছেন, সময়ের পাত্র ফুরিয়ে এসেছে তাঁর। তাই এক আশ্চর্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নিজের ফুরিয়ে আসা সময় বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অপরিচিত, অজানা লোকদের নিজের জীবনের সময় বিক্রি করে চলেছেন তিনি। হ্যাঁ, আশ্চর্য লাগলেও সত্যি। সিডনির এমিলি লাহে ঠিক এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৭ বছর বয়স থেকে মারণ রোগ ক্যানসারের সঙ্গে মোকাবিলা করছেন তিনি। এসে পৌঁছেছেন শেষ পর্যায়ে। আর এই সময়েই জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো তিনি তুলেছেন নিলামে।
সিডনিতেই ‘টাইম টু লিভ’, অর্থাৎ ‘বাঁচার সময়’ নামে একটি পারফরম্যান্স আর্ট ইনস্টলেশন শুরু করেছেন এই তরুণী। অস্ট্রেলিয়ান ক্যানসার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তরফে এটির নকশা করা হয়েছে। যেখানে প্রোজেকশনে জ্বলজ্বল করছে ৩ মিনিট। যে কোনও আগন্তুক এখানে তিন মিনিট সময় পান, মারণ রোগের কোনও রোগীর জীবনে তিন মিনিট সময় কেমন তা অনুভব করার জন্য। কেউ এমিলির জীবন নিয়ে কথা বলতে পারেন, কেউ আবার স্রেফ চুপ করে বসে থাকতেও পারেন।
আরও শুনুন:
দুর্বৃত্তদের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্যে সবল হোক মেয়েরা, চাইতেন রবীন্দ্রনাথও
আসলে মানুষকে এই রোগের বিষয়ে সহমর্মী করে তুলতে চান এমিলি। একইসঙ্গে তিনি চান, এইভাবে প্রাপ্ত অর্থ যেন ক্যানসার গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। নিজের শেষ সময়টুকু কেবল রোগের হাতে তুলে না দিয়ে, রোগের সঙ্গে আগামী লড়াইয়ে সেই সময়টা ব্যয় করে যেতে চান এমিলি লাহে।