নগ্ন হয়েই যাওয়া যায় শপিং মল, রেস্তরাঁয়! এই নগ্ন-নগরীই হানিমুনের সেরা ঠিকানা

মধুচন্দ্রিমা মানেই নবদম্পতির মধুর সময়। এই সময় দুজনই চিনে নিতে চান নিজেকে। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে। আর তাই চেনা চৌহদ্দি ছাড়িয়ে দম্পতি পাড়ি দেন দূরে কোথাও। যেখানে তাঁদের যৌথযাপন হয়ে উঠতে পারে খোলামেলা, স্বাভাবিক। পদে পদে ছোট ছোট নিষেধের ডোরে যেখানে বাঁধা পড়তে হয় না, সেরকম জায়গাই হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসাবে পছন্দ সকলেরই।

আরও শুনুন: পর্ন দেখেই নিয়মিত অভ্যেস হস্তমৈথুনের! বড্ড ভুল হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

তবে সে জায়গা যদি এমন হয়, যেখানে খোলামেলার অর্থ আক্ষরিক অর্থেই বদলে যায়, তাহলে কেমন হয়! অর্থাৎ এমন একটা জায়গা, যেখানে পোশাক পরারই দরকার নেই। নগ্নতা যেখানে ট্যাবু নয়। বরং স্বাভাবিক এক যাপনের অঙ্গ। দম্পতিরা নগ্ন হয়েই যেতে পারেন সমুদ্রের ধারে। দরকার হলে যেতে পারেন শপিং মলে টুকিটাকি কেনাকাটা করতে। আবার নগ্ন হয়েই রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে পারেন। কেউ তাঁদের কোনও প্রশ্ন করবেন না। পোশাক না-পরা নিয়ে দুটো বাঁদকা কথাও কেউ বলবেন। কেননা নগ্নতার এই উদযাপনই সেখানে দস্তুর। প্রশ্ন হল, এরকম নগ্ন-নগরী কি আদৌ আছে? উত্তর হল, আছে তো বটেই। এবং সেখানে প্রতি বছরি বহু পর্যটক ভিড় করেন নগনাত্র স্বাভাবিকতাকে উদযাপন করতে।

আরও শুনুন: ভারতীয় ‘কামসূত্র’ দিল খোঁজ, যৌনতৃপ্তির নতুন উপায় পেয়ে বেজায় খুশি ভিনদেশি মডেল

নগ্নতা প্রাকৃতিক। প্রকৃতির সাহচর্য এবং নগ্নতাকে অনেকে একযোগে মিলিয়ে দেখতে চান। তবে সব জায়গায় যে এ সুযোগ মেলে তা তো নয়। সেই নিরিখে একেবারেই ব্যতিক্রমী ফ্রান্সের নগ্ন-নগরী ক্যাপ দাগদে। বলা যায়, এ ক অভিনব রিসর্ট। যেখানে পোশাক খোলার স্বাধীনতা আছে। শরীরী উদযাপনকে শুধু যৌনতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় না। বরং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসাবেই ধরা দেয়। আর তাই এখানে প্রায় সর্বত্রই নগ্ন হয়ে স্বাধীন ভাবে ঘুরতে পারেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে সম্পতিদেরও পছন্দের জায়গা এই নগরী। কেননা এখানে পূর্ণ স্বাধীনতা মেলে। তবে তার মানে এখানে যে প্রকাশ্যেই যৌনতায় মেতে ওঠা যায় তা কিন্তু নয়। নগ্ন-নগরীতে থাকতে গেলে রীতিমতো পয়সা খরচ করতে হয়। তবে যে অবাধ মেলামেশার স্বধীনতা এখানে মেলে তা আর কোথাও নেই। আর তাই প্রকৃতি-যৌনতাকে উদযাপন যাঁরা করতে চান তাঁদের পছন্দের জায়গা যেমন, তেমনই এই নগ্ন-নগরী দম্পতিদেরও প্রিয় হানিমুন ডেস্টিনেশন।