চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য নিয়ে সারা দেশে শোরগোল। কিন্তু সেই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে ইসরো-র বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের টানা পরিশ্রম। এভাবে টানা কাজের সময়ে কী খান তাঁরা, এমনই প্রশ্ন উঠেছিল নেটদুনিয়ায়। উত্তরে কী জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবে চন্দ্রযান। পৌঁছবে চাঁদে। তাও আবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে হবে তাকে, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও রকেট নামতে পারেনি। সামান্য ভুলচুক হলেই লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেও ল্যান্ডিং-এর সময় ভেঙে পড়তে পারে সেটি, যেমনটা হয়েছিল চন্দ্রযান ২-এর সময়। ফলে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) গোটা প্রকল্প নিয়ে যে সাধ্যের চেয়েও বেশি পরিশ্রম করবেন বিজ্ঞানীরা, সে কথা বোঝাই গিয়েছিল। চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সাফল্যের পর বারেবারেই উঠে আসছে তাঁদের সেই দীর্ঘ পরিশ্রমের কথা। যখন নাওয়া খাওয়া ভুলে, ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা একাগ্র হয়ে কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু এভাবে টানা কাজ চলে যখন, সেই সময়ে কী খান বিজ্ঞানীরা- উঠেছিল এমনই প্রশ্ন। আর ইসরো-র (ISRO) বিজ্ঞানীদের তরফে দেওয়া হয়েছিল তার উত্তরও।
আসলে বছর দশেক আগে নেটদুনিয়াতেই বসেছিল এমনই এক প্রশ্নোত্তরের আসর। ইসরোতে কাজ করেন যে বিজ্ঞানীরা, তাঁদের বেতন কত, তাঁরা কাজের সময় কী খান- সেখানে এমনই নানা কৌতূহল প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। আসলে যে মানুষগুলি দেশকে আক্ষরিক অর্থেই আকাশে পৌঁছে দেন, তাঁদের নিয়ে কৌতূহল থাকাটাই তো স্বাভাবিক। একজন যেমন সরাসরি প্রশ্ন করে বসেছিলেন, যখন একটানা কাজ চলে, তখন কি নামী খাবার সংস্থা থেকে খাবার ডেলিভারি করা হয় গবেষকদের জন্য? তার জবাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, আদৌ না। আর পাঁচটা কলেজে অফিসে যেমন থাকে, তেমনই এই সংস্থার মধ্যেও রয়েছে ক্যান্টিন। বেশিরভাগ ক্যান্টিনেই মেলে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার- অর্থাৎ ভাত, চাপাটি, কারি আর সবজি, বড়জোর মিষ্টি। তবে হ্যাঁ, ইসরো-র খাবারে নাকি দই থাকবেই, এমনটাই অলিখিত নিয়ম।
আরও শুনুন: চর্চায় সিনেমার হিরো, বাস্তবের মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা এখন কোথায়?
ইসরো-র (ISRO) মতো নামী প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কত টাকা বেতন পান, তা জানার জন্য মুখিয়ে ছিলেন অনেকেই। সেই সময়ে জানানো হয়েছিল, শুরুতে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ররা বছরে মোটামুটি সাড়ে ৬ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। তার সঙ্গে কিছু অন্যান্য সুযোগসুবিধা যোগ করে মোট বার্ষিক বেতনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ লাখ টাকার কাছাকাছি। তবে সম্প্রতি চন্দ্রযান প্রকল্পের আবহে জানা গিয়েছিল, দীর্ঘ ১৭ মাস বেতন পাননি অনেক বিজ্ঞানীই। ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা কেউই বিশাল ধনী নন। উন্নত দেশের বিজ্ঞানীদের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ বেতনও পান না তাঁরা, সম্প্রতি আক্ষেপ করে এমনটাই জানিয়েছেন প্রাক্তন ইসরো (ISRO) প্রধান মাধবন নায়ার। তবুও দেশকে ভালবেসে, দেশের জন্যই কাজ করে চলেছেন ইসরো-র বিজ্ঞানীরা।