কফিনে বন্দি মৃতদেহ। আওয়াজ আসছে তার ভিতর থেকেই। ঠিক যেন কফিনের ডালায় ধাক্কা দিচ্ছে কেউ। কফিন খুলতেই সামনে এল চমকে দেওয়া সত্যি। কী হয়েছে ঠিক? শুনে নিন।
মৃত্যু হয়েছিল মহিলার। সারা হয়ে গিয়েছিল শেষকৃত্যের যাবতীয় প্রস্তুতিও। তবুও শেষমেশ সম্পন্ন করা গেল না অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া। উলটে শোকের আবহ হঠাৎ করেই বদলে গেল নাটকীয়ভাবে। আকস্মিকভাবেই মৃত অবস্থা থেকে বেঁচে ফিরলেন ওই মহিলা।
আরও শুনুন: ভিডিও-সমীক্ষায় ঘোর আপত্তি মসজিদ কমিটির, জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এবার আসরে বিশ্বহিন্দু পরিষদ
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আর পাঁচটি ক্ষেত্রে যেভাবে মৃতের শেষ কাজ সম্পন্ন করা হয়, এক্ষেত্রেও তার থেকে আলাদা কিছু হয়নি। এক গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল রোজা ইসাবেল নামের ওই মহিলার। তিনি একা নন, ওই একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁর ভগ্নীপতিও। মৃত্যুর পর সবরকম নিয়ম মেনেই পেরুর অধিবাসী ওই মহিলার শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। মৃতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিলেন তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা। সেইমতো কফিনে রাখা হয় দেহ। কবর দেওয়ার জন্য কফিনটি কাঁধে তুলে নেন আত্মীয়রা। আর এই সময়েই এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয় সকলকে। কফিন কাঁধে তুলে নেওয়ার পর বাহকেরা শুনতে পান, বন্ধ কফিনের ভিতর থেকে অদ্ভুত আওয়াজ আসছে। যেন ভিতর থেকে কফিনের দরজায় ক্রমাগত ধাক্কা দিচ্ছে কেউ। ভয়ে ভয়ে তড়িঘড়ি কফিন মাটিতে নামিয়ে রাখেন তাঁরা। তারপর ঢাকনা খুলতেই উপস্থিত সকলের প্রায় ছিটকে যাওয়ার দশা। দেখা যায়, কফিনের ভিতর থেকে তাঁদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ওই মহিলা।
আরও শুনুন: ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল দিয়েই গড়ে উঠেছে দ্বীপ, পেয়েছে সরকারি স্বীকৃতিও
প্রথমে খানিক ঘাবড়ে গেলেও, দ্রুতই সকলে বুঝতে পারেন যে এ কোনও ভৌতিক ঘটনা নয়। আসলে রোজা মারা যাননি, বরং বেঁচেই রয়েছেন তিনি। তাড়াতাড়ি তাঁকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা যায়, দেহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে তখনও। সঙ্গে সঙ্গে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয় ওই মহিলাকে। কিন্তু তাতেও আর বেশিক্ষণ ধরে রাখা যায়নি তাঁকে। বন্ধ কফিনে থাকার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছিল। তার জেরে সেই দিনই মৃত্যু হয় মহিলার।
আক্ষরিকভাবেই মৃত অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরার পর ওই মহিলার পরিবারের সকলে যেমন আনন্দে ভেসে গিয়েছিলেন, মহিলার মৃত্যুর পর ওই সাময়িক আশা আরও বিধ্বস্ত করে ফেলেছে তাঁদের। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। আপাতত শেষ কয়েক ঘণ্টার স্মৃতিটুকু সম্বল করেই এগিয়ে চলেছেন মৃতার পরিবার।