‘ন্যুড মডেল’। শব্দ দুটি পাশাপাশি বসলে অনেকেরই ভ্রূ কুঁচকে ওঠে। আসলে আর্টের সঙ্গে ন্যুড মডেল-এর সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বাকি সমাজের কাছে সেই যোগসাজশ অনেকখানি অস্পষ্ট হয়ে আছে। আর সেই কারণেই অনেক সময় এই মডেলদের ভাগ্যে জোটে কুৎসা, কটূক্তি, এমনকী ঘৃণাও। আসুন, শুনে দেখা যাক এঁদের কথা।
ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর ‘ফার্স্ট পার্সন’-এ ‘চোখের বালি’ সিনেমার একটি দৃশ্যের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসটিতে মুখ্য দুই পুরুষ চরিত্র, মহেন্দ্র ও বিহারী ছিল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। সিনেমার দৃশ্যটিতে ছিল কলেজের একটি অ্যানাটমি ক্লাস। সেখানে ছাত্রদের সামনে, টেবিলের ওপর শায়িত একটি মৃতদেহ। এক মৃত নারীর দেহ। ঋতুপর্ণ জানিয়েছিলেন, সেই ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য খুঁজে আনা হয়েছিল এক মহিলাকে, যিনি পেশায় ন্যুড মডেল।
আরও শুনুন – যেমন Breast তেমন Tax, প্রথার নামে দেশের মেয়েদের সইতে হত যৌন হেনস্তাও
আর্ট কলেজের পড়ুয়াদের কাছে এই শব্দ দুটি অতি পরিচিত। ডাক্তারির ছাত্ররা যেমন অ্যানাটমি ক্লাসে মৃত মানবশরীরকে কাটাছেঁড়া করে শারীরবিদ্যা শেখেন, তেমনই মানবশরীরকে যথাযথ ভাবে ক্যানভাসে তুলে ধরার জন্য রক্তমাংসের মানুষের প্রয়োজন হয় শিল্পীদের। হ্যাঁ, মানুষ-ই বলছি, মেয়েমানুষ নয়। কারণ আর্ট কলেজের ক্লাসে কেবল মহিলা নন, উপস্থিত থাকেন পুরুষ মডেলও।
আরও শুনুন – Sex Slave: যৌনদাসীর দিনরাত, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন Nadia Murad
যদিও অনেকেরই এমন ধারণা রয়েছে যে কেবল মহিলারাই মডেলের কাজ করেন। আর সেই মেয়েদের প্রতি তাঁদের ধারণাও খুব একটা উঁচু মানের নয়। রাস্তাঘাটে হওয়া শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন কি না করুন, শিল্পের প্রয়োজনে নিরাবরণ হওয়ার প্রশ্নে এঁদের ঘোরতর আপত্তি। সুতরাং একসময় মডেল খুঁজতে হত বারবণিতা পল্লি থেকেই। এখন অবস্থাটা খানিক পালটেছে, তবুও এ দেশে যে মহিলারা এই পেশায় আসেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের এই পেশা বেছে নেওয়ার কারণ হয় সংসারের আর্থিক দুরবস্থা। কিন্তু সেই সংসার তাঁদের কাজটাকে সম্মান দেয় না প্রায়শই। তাই তাঁরা সিটিং দিতে আসেন লুকিয়ে চুরিয়ে। পরিজন বা পরিচিতদের কাছে গোপন করে যান নিজের কাজের পরিচয়।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।