পৃথিবীর আলো দেখবেন না। এমনই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন এক মহিলা ক্রীড়াবিদ। যার জন্য প্রায় ২ বছর গুহার মধ্যে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। অথচ এতদিন অন্ধকারে থাকতে নাকি কোনও অসুবিধাই হয়নি তাঁর। এমন অদ্ভুত কাণ্ডের জেরে তাঁর নাম উঠেছে বিশ্বরেকর্ডের খাতাতেও। কিন্তু কীভাবে এতগুলো দিন কাটালেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
৫০০ দিন। প্রায় দু-বছরই বলা যায়। এতগুলো দিন কার্যত অন্ধকারের মধ্যে কাটিয়েছেন এক মহিলা ক্রীড়াবিদ। যদিও এমনটা তিনি করেছেন নিজের ইচ্ছাতেই। আসলে, এই অদ্ভুত কাজ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি। আর তা জেতার জন্যই ৫০০ দিন নির্জন গুহার মধ্যে কাটিয়েছেন এই ক্রীড়াবিদ।
আরও শুনুন: ভাগ্য ফেরাল হাওয়াই চটি! চপ্পলের ব্যবসায় ২০ হাজার কোটির মালিক ব্যক্তি
কথা বলছি, বেয়াত্রিজ ফ্লেমিনি সম্পর্কে। বছর পঞ্চাশের এই স্পেনীয় ক্রীড়াবিদ অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। টানা ৫০০ দিন তিনি নির্জন একটি গুহার মধ্যে দিনযাপন করেছেন। যেখানে দিনের বেলাতেও এতটুকু আলো ঢুকতে পারে না। মাটি থেকে প্রায় ৭০ মিটার গভীর এই গুহাতে তিনি একেবারেই একা থাকতেন। সঙ্গী বলতে একগুচ্ছ বই। সূর্যের আলো প্রবেশ না করলেও গুহার ভিতর কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা ছিল। আর সেই আলোতেই বই পড়ে সময় কাটাতেন তিনি। বাইরের জগতে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেসব নিয়ে একেবারেই মাথা ব্যাথা ছিল না বেয়াত্রিজের। তাই গুহা থেকে বেরিয়ে আসারও খুব একটা ইচ্ছা তাঁর ছিল না। পূর্ব পরিকল্পনা মতো তাঁর গুহায় ঢোকার ৫০০ দিন পর উদ্ধারকারীর দল ওই গুহায় ঢোকে। কিন্তু তাঁদের দেখে বেশ অবাক হয়ে যান বেয়াত্রেজ। তিনি নাকি ভাবতেই পারেননি এতগুলো দিন এই গুহায় কাটিয়ে ফেলেছেন।
আরও শুনুন: ‘মোদিজি, একটা স্কুল বানিয়ে দিন’, অপরিচ্ছন্ন স্কুল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার কাশ্মীরি খুদের
আসলে বছর দুয়েক আগে, এক গবেষণার স্বার্থে এমন অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন ওই মহিলা ক্রীড়াবিদ। অন্ধকারে একা একা দিন কাটালে মানুষের ঠিক কেমন মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন হয়, তা লক্ষ করাই ছিল ওই গবেষণার উদ্দেশ্য। তাই বেয়াত্রিজের কাণ্ডকারখানার উপর সববসময় নজর রাখত একটি দল। কোনওরূপ অসুবিধা হলেই যাতে সাহায্য করা যায় তার সবকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেসবের কিছুই দরকার পড়েনি বেয়াত্রিজের জন্য। তিনি নিশ্চিন্তে ৫০০ দিন অন্ধকার গুহায় কাটিয়ে দিয়েছেন। এই কদিনে প্রায় ৬০ খানা বই পড়েছেন তিনি। অবশ্য এর জেরে যে তিনি বিশ্বরেকর্ডের ভাগীদার হবেন তা প্রথমে ভাবতেও পারেননি। তাই এই সাফল্যে বেজায় খুশি বেয়াত্রেজ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল।