কোনও পরীক্ষার আগে যদি শোনা যায়, প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছে, তাহলে কীরকম হুলুস্থুল পড়ে যায় বলুন তো? সেই বিপদ থেকে বাঁচতেই কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল একটি স্কুল। কিন্তু সেই নিরাপত্তার দরুন ধেয়ে এল আরও বড় বিপদ। কী হয়েছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
এক বিপদ থেকে রক্ষা পেতে গিয়ে ডেকে আনা হল আরও বড় বিপদ। আর তার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শেষমেশ ডাকতে হল দমকলকে। তবেই মিলল রেহাই। কিন্তু কী সেই বিপদ, তা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। জানা গিয়েছে, স্রেফ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উদ্ধার করতেই হাজির হয়েছিল দমকল বাহিনী। হ্যাঁ, এমনই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে একটি স্কুলে। ঠিক কী হয়েছে, তবে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: হিন্দি গানেও লুকিয়ে রবীন্দ্রসংগীতের সুর, কোন কোন সুরকারের কাজে পড়েছিল সেই ছাপ?
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকেন যে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসকেরাই। সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলির জন্য নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বরাদ্দ। সেই হিসেবে অনেক মাথা ঘামিয়ে, সময় ব্যয় করে নিয়মমাফিক প্রশ্নপত্র তৈরি করা হল, এদিকে পরীক্ষার ঠিক আগেই হয়তো শোনা গেল, ফাঁস হয়ে গিয়েছে তা। তখন নিরপেক্ষ মূল্যায়নের তাগিদে সেই প্রশ্নপত্র বাতিল করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। আর প্রশ্নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া মানে পরীক্ষার রুটিনেও কোপ। তারপর শিক্ষকদের জবাবদিহির পালা। সেজন্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গোপন রাখতে অবলম্বন করা হয় কড়া নিরাপত্তা। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়েই গোল বাধিয়ে বসল জার্মানির এই স্কুলটি। এমন একটি নিরাপদ সিন্দুকে ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভরে রেখেছিলেন শিক্ষকেরা, যে, কার্যকালে দেখা গেল সেটি কিছুতেই খোলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এমন কাজ করলেন তাঁরা, যা শুনে আক্ষরিক অর্থেই চমকে গিয়েছেন নেটিজেনেরা। স্কুলের তরফ থেকেই সোজা বিপদসূচক ফোন যায় দমকলের দপ্তরে। এই ফোন থেকে কেবল বিপদের কথাই জানা গিয়েছিল, কিন্তু সেই বিপদ যে ঠিক কোন জাতের, সে কথা জানতে পারেননি দমকলকর্মীরা। তড়িঘড়ি স্কুলে পৌঁছনোর পর সব জেনে অবাক হয়ে যান তাঁরা।
আরও শুনুন: উচ্চবর্ণের জন্য নির্দিষ্ট পাত্র থেকে জলপানের ‘অপরাধ’, দলিত ছাত্রীকে বেধড়ক মার শিক্ষকের
তবে সব জানার পরও কিন্তু একে ‘ফলস অ্যালার্ম’ অর্থাৎ ভুয়ো ফোনের তকমা দিয়ে নিজেদের কাজ সেরে ফেলেননি তাঁরা। বরং তাঁরাই দায়িত্ব নিয়ে ওই সিন্দুকটি খোলার চেষ্টা করেন। দমকল বাহিনীর কাছে থাকা যন্ত্রপাতি দিয়ে অবশেষে কেটে ফেলা হয় সিন্দুকটি। আর তাঁদের দৌলতেই শেষমেশ নির্ধারিত দিনেই ফাইনাল পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। তবে হ্যাঁ, পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এভাবে মাটি হয়ে যাওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীই যে খুব একটা খুশি হননি, সে কথাও জানিয়েছেন দমকলের ওই কর্মীরা।