বউ চাই। দাবি স্রেফ এতটুকু। তার জন্য যে কোনও মূল্য দিতে রাজি। লোকে কি ভাববে, তাতে বিন্দুমাত্র আমল দেওয়ার সময় নেই। নিজের দাবি পূরণ করতে যা কিছু করা যায় তিনি করেছেন। তার মধ্যে এমন একটা কাজ রয়েছে যা দেখে নেটদুনিয়ার চক্ষু চড়কগাছ। কী এমন করেছেন ওই ব্যক্তি? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, জন্ম, মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। অর্থাৎ কার কোথায় বিয়ে হবে তা আগে থেকে বলা মুশকিল। এমনকি কার সঙ্গে বিয়ে হবে তাও ভাগ্যের হাতেই ছেড়ে দেন অনেকে। তবে এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খানিক আলাদা। তাঁর চিন্তা বলতে একটাই, আদৌ বিয়ে হবে তো!
আরও শুনুন: রামায়ণ-মহাভারত না জানলে দেশ চিনবেন না মুসলিমরা, অনুবাদের উদ্যোগ ছিল খোদ আকবরের
বয়স ৩০ ছুঁই ছুঁই। এদিকে ‘দিল্লি কা লাড্ডু’ চেখে দেখার সুযোগ হয়নি এখনও তাই বলে কি ইচ্ছা নেই! খুব আছে। বলা ভালো, এই মুহূর্তে তাঁর জীবনের একটাই লক্ষ্য, ‘বউ চাই’। তার জন্য যা করতে হয় তিনি রাজি। এতদিন বউ খোঁজায় চেষ্টার কোনও খামতি রাখেননি। পরিচিত মহল থেকে শুরু করে অনলাইন গ্রুপ, সর্বত্রই জানিয়েছিলেন, ‘বিয়ে করতে চান’। কিন্তু লাভ হয়নি। হাজার খুঁজেও মনের মতো পাত্রী জোটেনি। তবু হাল ছাড়েননি। বিয়ে তাঁর হবেই, এই আশায় একেবারে অদ্ভুত এক ফন্দি এঁটেছেন। যা সচরাচর কেউ পাত্রী খুঁজতে অন্তত করেন না।
আরও শুনুন: চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে হিন্দু ধর্ম, ধর্মগুরুকে সম্মান জানিয়ে এবার উদ্যোগ নিল খোদ নাসা
কী করেছেন ওই ব্যক্তি?
তাহলে খুলেই বলা যাক। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। সেখানকার দীপেন্দ্র রাঠোর নামে এক ব্যক্তির জীবনেই এমন ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটেছে। তাই তিনিও স্রোতের উলটোদিকেই ভেবেছেন। সাধারণত পাত্র-পাত্রীর খোঁজ পেতে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। অনেক সময় অনলাইনে সেই একইরকমের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। তবে দীপেন্দ্র এসবের কিছুতেই কিছু ফল পাননি। তাই বড় করে ছাপিয়েছেন তাঁর পছন্দের পাত্রীর বিবরণ। সঙ্গে নিজের বায়োডাটাও লিখেছেন। গোত্র থেকে শুরু করে গায়ের রং যাবতীয় সব কিছুই সেই বিজ্ঞাপনে লিখেছেন তিনি। তারপর সেই পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছেন ই-রিক্সার গায়ে। যা গোটা শহর ঘুরে প্রচার করেছে, দীপেন্দ্র বিয়ে করতে চান! যা দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া। বলাই বাহুল্য, এমন অভিনব উপায়ে পাত্রীর খোঁজ এর আগে কেউ করেননি।