এককালে লাইব্রেরিতে বইপত্র দেখাশোনা করাই ছিল কাজ। এখন পুরুষাঙ্গের রেটিং দেওয়াই হয়েছে কাজ। পেশাগত ভাবে এ-কাজ উপভোগও করেন তরুণী। কেন এমন পেশা বেছে নিয়েছিলেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
পুরুষাঙ্গের রেটিং দেওয়াই পেশা এক তরুণীর। শুনতে হয়তো একটু অদ্ভুত। কিন্তু পর্ন দুনিয়ায় তা যেমন-তেমন কাজ নয়। বরং যোগ্য লোকেরাই এ কাজ করতে পারেন। তাঁদের মধ্যেই একজন পর্ন তারকা লারকিন। যিনি লাইব্রেরিয়ানের পেশা ছেড়ে পা দিয়েছিলেন পর্ন দুনিয়ায়।
আরও শুনুন: একটানা ২১ দিন ধরে করতে হবে হস্তমৈথুন, শর্ত মানলে কী পুরস্কার?
পড়াশোনা করেছিলেন সাইকোলজি নিয়ে। এরপর পেশাগত জগতে কাজ শুরু করেন লাইব্রেরিয়ান হিসাবে। বইপত্র দেখাশোনার কাজ ছেড়ে পুরুষাঙ্গ বিচারের কাজ সহজ নয়। পর্ন দুনিয়ায় এসেই অবশ্য এ কাজ করা শুরু করেননি তিনি। এই দুনিয়ায় পা রাখাটাই তাঁর কাছে ছিল বড় সিদ্ধান্ত। নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন ছিলেন লারকিন। বিশেষত তাঁর স্তনের আকৃতি নিয়ে। পর্ন দুনিয়ায় পা রেখে এই বক্ষসৌন্দর্যের জন্যই সকলের নজর কাড়েন তিনি। অনেকের মতে তাঁর স্তনযুগল প্রায় নিখুঁত। গোড়া থেকে পর্ন দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন লারকিন। বেশ কয়েকটি খেতাবও জিতেছিলেন তিনি। কোনও কোনও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে উঠে আসে তাঁর শরীরী আবেদনের ছবি। পর্ন দুনিয়ায় পা রেখে যে অঙ্কের অর্থ উপার্জন করছিলেন লারকিন তা ছিল নজরকাড়া। সব মিলিয়ে পুরনো পেশা ছেড়ে নতুন দুনিয়ায় পা রেখে সব দিক থেকে লাভবানই হয়েছিলেন তিনি।
আরও শুনুন: চাই ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন সঙ্গম, দুই বান্ধবীর যৌন-চ্যালেঞ্জে রাজি হয়ে কী হাল যুবকের?
পরবর্তী সময়ে তাঁর পড়াশোনা কাজে লাগান পর্নের দুনিয়াতেও। বিশেষ এক কাজ নেন তিনি যেখানে সাইকোলজির বিদ্যা কাজে লেগেছিল। তারই পাশাপাশি চলে আসে পুরুষাঙ্গ বিচারের কাজও। এই ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের ছবি দেখে তিনি রেটিং দেন। যার ভিত্তিতে পর্ন দুনিয়ায় অনেক কিছুই নির্ভর করে। এই কাজটি উপভোগও করেন লারকিন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, পুরুষরা এই স্বীকৃতি পছন্দ করেন। অনেকের কাছে তা তো বাতিকের সমান। লারকিনের বক্তব্য, যৌনতার ক্ষেত্রে কীভাবে নারীদের সন্তুষ্ট করতে হয় তা প্রায় সব পুরুষই জানতে চান। আর মনের সেই গোপন ইচ্ছা পড়তে পারার ক্ষমতাই এই কাজে লারকিনকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। পুরুষাঙ্গের রেটিং দেওয়ার ক্ষেত্রে লারকিন যে সেরা, এ কথা এখন মানেন অনেকেই।
আরও শুনুন: নগ্ন হয়েই যাওয়া যায় শপিং মল, রেস্তরাঁয়! এই নগ্ন-নগরীই হানিমুনের সেরা ঠিকানা
লাইব্রেরিয়ান ছেড়ে পর্ন দুনিয়া, বইপত্র ছেড়ে পুরুষাঙ্গের ছবি হাতে নিয়ে বিচার করার কাজ। লারকিনের যেন একটা নয়, দুটো জীবন। তবে নতুন এই জীবনে যে খুশি তা জানাতে দ্বিধা করেননি লারকিন।