১০ দিনে ১০ কোটি! এতটাই রোজগার হয়েছে কুম্ভে ভাইরাল মোনালিসার। সম্প্রতি এমন দাবি ঘিরে নেটদুনিয়ায় হইচই শুরু হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কী বলছেন মোনালিসা নিজে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শেষের পথে কুম্ভমেলা। ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন হাজার হাজার ভক্ত। মেলা ছাড়তে শুরু করেছেন নাগা সাধুরাও। তাই বলে মেলা নিয়ে নেটদুনিয়ার চর্চা কিছুমাত্র কমেনি। নতুন করে ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই যারা ভাইরাল তাদের নিয়েও চর্চা চলছে। সেই প্রসঙ্গে নতুন করে চর্চায় ফিরেছেন মোনালিসা, কুম্ভমেলায় ভাইরাল সেই ফুল বিক্রেতা! নতুন দাবি, কুম্ভমেলায় তাঁর ১০ কোটি টাকা রোজগার হয়েছে।
একথা অস্বীকারের উপায় নেই, কুম্ভমেলায় ব্যবসা করে অনেকেই মোতা টাকা রোজগার করেছেন। সরকারি হিসাবও বলছে কয়েক হাজার কোটির ব্যবসা হয়েছে কুম্ভ থেকে। এই সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কিন্তু কোনও একজনের পক্ষে ১০ কোটি টাকা রোজগার আদৌ সম্ভব? নেটিজেনরা বলছেন, অবশ্যই সম্ভব। কারণ স্রেফ ব্যবসা নয়, আরও অনেক কারণেই টাকা রোজগার হয়েছে মোনালিসার।
:আরও শুনুন:
কুম্ভের রাধারানি! ফুল-মালা বিক্রি করতে এসে এবার কুম্ভ মাতালেন ‘কৃষ্ণকলি’
খুব বেশিদিনের পুরনো কথা নয়। কুম্ভমেলা শুরুর এক সপ্তাহ কেটেছে। একে একে ভাইরাল হচ্ছেন, সুন্দরী সাধ্বী, আইআইটি বাবার মতো অনেকে। এই ভিড়ে নিজের নাম লেখালেন ‘মোনালিসা’। সাধারণ এক তরুণী। যিনি মহাকুম্ভে এসেছিলেন মালা বিক্রি করতে। তবে মেলায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, তরুনীর গলায় শোভা পাচ্ছে ফুলের মালা। এলো চুল আলগোছে বাঁধা। টানা-টানা মদালস আঁখি। মিষ্টি হাসি। সাদামাটা ঘরোয়া। যেন নজর কাড়ার জন্য আলাদা কোনও আয়াস নেই। অথচ এই সাধারণত্বেই সকলের নজর কাড়েন তিনি। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, তাঁর হাসি যেন মোনালিসার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কেউ আবার অস্ফুটে বলেন, কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি…। মোটকথা তাঁর ছাপোষা সৌন্দর্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলেন নেটবাসিন্দারা। তখনও তরুণীর নাম-ধাম জানা যায়নি। নানা জন নানা নামে ডাকতে শুরু করেন। তবে, নামে কী আসে যায়! কুম্ভের ধর্মীয় প্রেক্ষাপট সরিয়ে রেখে, নেটিজেনরা হয়ে ওঠেন এই সুন্দরের উপাসক।
তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সকলেই এমন হামলে পড়ে মোনালিসার ভিডিও করতে শুরু করেন, যে রাতারাতি নিজেকে লুকোতে বাধ্য হন ভাইরাল সুন্দরী। অবশ্য তিনি একা ছিলেন না, ছিল তাঁর দলবল, পরিবারের সদস্যরাও। তাই সকলে মিলে ঘরের মেয়েকে আগলে রাখতে শুরু করেন। আর তাতেই নতুন নতুন তত্ব খাড়া করে মোনালিসাকে নিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করেন অনেকে। এমনই এক ভিডিওতে মোনালিসা সম্পর্কে দাবি করা হয়, কুম্ভমেলায় মাত্র ১০ দিনে ১০ কোটি রোজগার হয়েছে তাঁর। সেই দাবি মেনেও নেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের অনেকে। বিষয়টা নিয়ে আরও চর্চা শুরু হয়। আর তাতেই খোঁজ পড়ে সেই মোনালিসার। এমন দাবির সত্যতা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। উত্তরে খানিক বিরক্তই হন ভাইরাল সুন্দরী। তাঁর দাবি, এত টাকা যদি রোজগার হত, তাহলে কেন মালা বিক্রি করতেন তিনি! পাশাপাশি কুম্ভ শেষ হয়ার আগে সেখান থেকে চলে আসা নিয়েও আক্ষেপ মোনালিসার। আগামীবছর মেলার সময় হয়তো কুম্ভে যাবেন। তবে সেবার আর ভিড় এমন হবে না, একথা ভালোমতো জানেন তিনি। তাই এবারের মেলায় ভাইরাল হলেও রোজগার নিয়ে বিশেষ খুশি নন ভাইরাল সুন্দরী ও তাঁর পরিবার, একথা বলাই যায়।