বিজ্ঞানীরা বলেন বিরাট এক গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। সেই থেকেই ডায়নোসরের বিলুপ্তি। কোনও মহলের আবার মত, পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিল না ডায়নোসরেরা। সে কারণেই তাদের বিলুপ্তি। ডায়নোসরের পৃথিবী থেকে মুছে যাওয়ার আসল কারণ কী জানেন?
৬৬ মিলিয়ন আগের পৃথিবী, অর্থাৎ আজ থেকে ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে, আকাশ থেকে অতর্কিতে নেমেছিল অতিকায় এক গ্রহাণু। সেই গ্রহাণুর ব্যাসার্ধ প্রায় বারো কিমি। গ্রহাণুটি আছড়ে পড়ার অভিঘাত ছিল হিরোশিমায় পারমানবিক বোমা পড়ার থেকেও বেশি। তার ফলেই নাকি পৃথিবী থেকে মুছে গিয়েছিল অতিকায় প্রাণী ডায়নোসর। বিরাট গ্রহাণুটি এসে পড়েছিল, মেক্সিকো সাগরের তীরে ইউকাটান দ্বীপ অঞ্চলে। সেই গ্রহাণু এত তীব্র বেগে এসে ধাক্কা দিয়েছিল যে প্রায় দুশো কিলোমিটার চওড়া এক গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। পৃথিবীর সন্নিহিত জলরাশির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল ভয়াবহ ঢেউয়ের। যদিও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য তথ্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণু আছড়ে না পড়লেও ডায়নোসরের বিলুপ্তি ছিল খালি সময়ের অপেক্ষা। ডায়নোসরদের বিলুপ্তির পর পৃথিবীতে শুরু হয়েছিল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের কাল।
আরও শুনুন: মাছ না ঢাকা যাক, শাক কিন্তু সারিয়ে দেয় হাজারও অসুখ
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, গ্রহাণুর মধ্যে থাকা সালফার আকাশে এবং জলে ছড়িয়ে পড়ে। আবহাওয়া অত্যন্ত ঠান্ডা হয়ে যায়, ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত পঁচিশ ডিগ্রি নেমে পৌঁছায় শূন্য ডিগ্রিতে। আবহাওয়া এত এত ঠান্ডা হয়ে যায়, সেই পরিবেশে ডায়নোসররা বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়নি।
পৃথিবীবিখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার কমিউনিকেশন্স’ প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে অন্য তথ্য। তাঁরা জানিয়েছেন জলবায়ু যেভাবে বদলাচ্ছিল তার ফলে ডায়নোসরদের অবলুপ্তি হতোই। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং-এর কিছু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, গ্রহাণু আছড়ে পড়ার আরও পঞ্চাশ মিলিয়ন বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল ডায়নোসরদের বিলুপ্তি। গ্রহাণুর আঘাত সেই কফিনের শেষ পেরেক মাত্র। ডায়নোসরদের জন্মের সময় পৃথিবী ছিল উষ্ণ। কিন্তু দিনে দিনে পৃথিবী শীতল হয়ে আসতে থাকে।
আরও শুনুন: এই প্রথম দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিত, পর্দার পুরোহিত Ritabhari বললেন ‘অ্যাওয়ার্ডের থেকেও বড় পাওনা’
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদদের মতে, গ্রহাণুর আছড়ে পড়া, আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদির প্রভাবে উদ্ভিদকূল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে যেসব ডায়নোসর তৃণভোজী, তারা ক্রমে বিলুপ্তির দিকে এগোতে থাকে।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।